সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আলো দেখার কথা ছিল ধর্মেন্দ্রর শেষ ছবি 'ইক্কিস'-এর। শেষবারের মতো পর্দায় 'হি-ম্যানে'র ম্যাজিক দেখার অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক-অনুরাগীরাও। তবে বুধবার জানা যায়, দেশজুড়ে 'ধুরন্ধর' ঝড়ের আবহে 'ইক্কিস' রিলিজের দিনক্ষণ পিছিয়েছে। আদৌ কি তাই? এবার 'বীরু' ধর্মেন্দ্রর শেষ ছবি নিয়ে বড় আপডেট দিলেন 'জয়' অমিতাভ বচ্চন।
উল্লেখ্য, 'ইক্কিস'-এর সুবাদেই বড়পর্দায় প্রথমবার মুখ্য ভূমিকায় অবতরণ করতে চলেছেন বিগ বি'র মেয়ের ঘরের নাতি অগস্ত্য নন্দা (Agastya Nanda)। তবে বিগবাজেট সিনেমার ধাক্কায় নির্ধারিত দিনে প্রথমবারের জন্য বড়পর্দায় আসা হচ্ছে না অগস্ত্যর! পরিবর্তে আরও একসপ্তাহ বাদে মুক্তি পাচ্ছে 'ইক্কিস'। কিন্তু আচমকাই কেন রিলিজের দিনক্ষণ পিছনো হল? প্রথমটায় শোনা গিয়েছিল, একে দেশজুড়ে ‘ধুরন্ধর’ জ্বর। উপরন্তু মাথার উপর খাঁড়ার মতো ঝুলছে কার্তিক আরিয়ানের বহু প্রতীক্ষিত রোম্যান্টিক সিনেমা 'তু মেরি ম্যায় তেরা'র রিলিজ। সেই ছবিটিও মুক্তি পাচ্ছে ২৫ ডিসেম্বর। সেই কারণেই কি ধর্মেন্দ্রর শেষ ছবি 'ইক্কিস'-এর রিলিজ পিছিয়ে গেল? এবার প্রয়াত বন্ধু বীরু'র হয়ে ব্যাটন ধরলেন 'জয়' অমিতাভ। ফাঁস করলেন অগস্ত্য, ধর্মেন্দ্রর সিনেমার মুক্তি পিছনোর আসল কারণ।
কী জানালেন বিগ বি? বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে অমিতাভ বচ্চন লেখেন, "আগে 'ইক্কিস'-এর পঁচিশ তারিখ আসার কথা ছিল। এবার ছাব্বিশ সালের পয়লা জানুয়ারি রিলিজ করছে। কজন জ্যোতিষ বললেন, ভাই, এটাই শুভ সময়ে। ব্যাস, আমরাও সেই দিনটাই ঠিক করলাম।" অতঃপর 'ইক্কিস'-এর রিলিজ পিছনোর নেপথ্যে যে 'ধুরন্ধর'-এর হাত নেই, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন অমিতাভ বচ্চন।
২৪ নভেম্বর ‘হি-ম্যানে’র প্রয়াণের পর থেকেই নেটভুবনে চর্চিত তাঁর অন্তিম সিনেমা ‘ইক্কিস’। শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত একাত্তর সালের বসন্তর যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবিতে শহিদ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পিভিসি অরুণ ক্ষেত্রপালের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র। অন্যদিকে পরমবীরচক্র সম্মানে ভূষিত অরুণ ক্ষেত্রপালের চরিত্রে দেখা যাবে অমিতাভ বচ্চনের মেয়ের ঘরের নাতি অগস্ত্য নন্দাকে। উল্লেখ্য, এই সিনেমার শুটিংয়ের শেষ দিনে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশকে মিলিয়ে দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তিনি জানান, “আমার মনে হয়, ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের দর্শকমহলেরই ‘ইক্কিস’ দেখা উচিত। আজ যেহেতু শুটিংয়ের শেষ দিন তাই আনন্দের পাশাপাশি আমার খুব দুঃখও হচ্ছে। তোমাদের সকলের জন্য অনেক ভালোবাসা রইল। আর আমি যদি কিছু ভুল বলে থাকি তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিও।”
