সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ জলসা শূন্য। উস্তাদ আর আসবেন না। অন্য সুরালোকের জন্য রওনা হয়েছেন তবলা মায়েস্ত্রো (Zakir Hussain Death)। জাকির হুসেনের প্রয়াণে শোকবিহ্বল এ আর রহমান (AR Rahman)। অতীতে একসঙ্গে কাজ করলেও কেন উস্তাদের সঙ্গে আর জুটি বাঁধলেন না, এই একটাই আক্ষেপ কুরে কুরে খাচ্ছে এখন রহমানকে। সোমবার জাকির হুসেনের প্রয়াণের খবরে আসমুদ্র হিমাচলের মতো 'মোজার্ট অফ মাদ্রাজের' মাথাতেও যেন বাজ! জাকির ভাইয়ের এই অকালপ্রয়াণ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
সদ্য ট্রিনিটি লেবান কনসারভেটোয়ার অফ মিউজিক অ্যান্ড ডান্সের সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন রহমান। রবিবারই রহমানের মুকুটে নতুন পালক জুড়েছে। এর মাঝেই দুঃসংবাদ! প্রিয় জাকির ভাই আর নেই। এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে রহমান লিখেছেন, "জাকির ভাই ছিলেন একজন অনুপ্রেরণা। অসামান্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। যিনি তবলাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। ওঁর চলে যাওয়া আমাদের সকলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁর সঙ্গে আর কাজ না করতে পারার আক্ষেপটা রয়েই গেল। একসঙ্গে একটা অ্যালবাম করার পরিকল্পনাও করেছিলাম আমরা। যদিও কয়েক দশক আগে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তোমাকে সত্যিই মিস করব। ঈশ্বর ওঁর পরিবার এবং জাকির ভাইয়ের বিশ্বব্যাপী অগণিত শিষ্য-শিষ্যাদের এই কঠিন সময়ে শোক সামলানোর ক্ষমতা দিন, এটাই প্রার্থনা করব।"
চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসেই জাকির হুসেন গ্র্যামি পুরহস্কার পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টে লিখেছিলেন, "ভারতে গ্র্যামি বৃষ্টি হচ্ছে... অভিনন্দন জাকির ভাই।" তখন কে জানত, মায়েস্ত্রো চিরতরে বিদায় নেবেন এই বছরেই। জাকির হোসেনের প্রয়াণের খবর সোমবার ভোররাতে উস্তাদের প্রয়াণের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে পরিবারের তরফে। রবিবারই গুরুতর অসুস্থ হয়ে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উস্তাদ। জানা গিয়েছে, হৃদযন্ত্রের সমস্যার জন্যই শিল্পীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। পরিবারের তরফেও তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনার অনুরোধ করা হয়। এর মাঝেই জাকির হোসেনের মৃত্যুর খবর রটে যায়। খোদ উস্তাদের বোন জানান, "তিনি আশঙ্কাজনক। তবে বেঁছে আছেন। সকলে প্রার্থনা করুন।" কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সোমবার ভোরে আসমুদ্র হিমাচলে আছড়ে পড়ল উস্তাদের প্রয়াণের দুঃসংবাদ। ইতিমধ্যেই দেশের রাজনৈতিকমহল থেকে সিনেজগতের তারকারা শোকপ্রকাশ করেছেন।