সুদীপ রায়চৌধুরী: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রক্তাক্ত হয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচি। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার আগে পুরনো ঘটনার আতঙ্কে কাঁপছে গোটা এলাকা। সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। এবার শীতলকুচির সেই 'রক্তাক্ত' বুথে থাকছে না সিআইএসএফ জওয়ান।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতলকুচির সেই বুথে এবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন আইটিবিপি অথবা বিএসএফ কিংবা এসএসবি জওয়ানরা। ১ কোম্পানি অর্থাৎ আটজন জওয়ান থাকবেন সেই গুলি চলা বুথটিতে। তবে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে কোনওভাবেই সিআইএসএফ জওয়ানরা থাকবেন না। উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল, শীতলকুচির জোরপাটকের ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে গুলি চলে। আর সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আজও আলোচনার শেষ নেই। বারবার ভোটপ্রচারে উঠে এসেছে শীতলকুচি প্রসঙ্গ। কোচবিহারে এবার লোকসভা নির্বাচনে কোনও অশান্তি হলে তা বরদাস্ত হবে না, বলে জানিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর তার পরই নির্বাচন কমিশন সতর্কতামূলকভাবে এমন বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: কনভয়ের মাঝে অতি দ্রুত বেগে আসা গাড়ির ধাক্কা, মাথায় চোট তৃণমূল প্রার্থী কাকলির]
তবে এবার শুধু শীতলকুচিই নয়, প্রায় গোটা কোচবিহারের ক্ষেত্রেই বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাড়ে চার হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েনেরও সিদ্ধান্ত। আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে তার তুলনায় যা অনেক বেশি। আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। ২ হাজার ৪৫৪ জন রাজ্য পুলিশ। জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ৩ হাজার ৭৭ জন রাজ্য পুলিশ মোতায়নের সিদ্ধান্ত কমিশনের। এছাড়া দ্বিতীয় দফায় বাহিনী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল মোট ৩০৩ কোম্পানি।