সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan), বাংলাদেশ (Bangladesh) ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলে আসা ছ’টি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যাঁদের পাসপোর্ট ও ভিসা ভারতে থাকাকালীন মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, সেই নথি দেখিয়েই তাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন।
সেগুলি প্রামাণ্য হিসাবে গ্রহণ করতে শীঘ্রই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিটিজেনশিপ পোর্টাল পুনর্গঠন করতে চলেছে। ওই তিন দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও জৈন সম্প্রদায়ের মানুষ এই সুযোগ পাবেন। সরকারি সূত্রের খবর, বর্তমানে পোর্টালটি শুধুমাত্র ২০০৯-এর ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আসা পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখদের মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্টকে প্রামাণ্য নথি হিসাবে গ্রহণ করে।
[আরও পড়ুন: ‘রাবণে’র পর ‘ইঁদুর’, প্রধানমন্ত্রীকে ফের কটাক্ষ খাড়গের! তোলপাড় রাজ্যসভা]
পাকিস্তান থেকে আগত শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় লড়াই করা সীমান্ত লোক সংগঠনের সভাপতি হিন্দু সিং সোধা বলেছেন, “সরকারি সিদ্ধান্তে ২০১০ থেকে এ দেশে আসা পাক হিন্দুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ, অনলাইনে তাঁদের পাসপোর্ট গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে গৃহীত হচ্ছে না তাঁদের নাগরিকত্বের আবেদনও। তাঁদের দিল্লিতে পাক দূতাবাসে দৌড়তে হচ্ছে। কখনও পাসপোর্ট নবীকরণে তারা প্রচুর অর্থ দাবি করছে। কখনও তুচ্ছ কারণে আবেদন বাতিল করছে। অথচ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে তাঁরা এ দেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্য। কারণ, তাঁরা প্রায় ১২ বছর যাবৎ ভারতে রয়েছেন।”
২০১৫-য় কেন্দ্র আইন সংশোধন করে জানিয়েছিল, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের আগে ওই ছ’টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা পাসপোর্ট বতিল হলেও এ দেশে থাকতে পারবেন। কিন্তু অনলাইন পোর্টালে তাঁদের আবেদন গৃহীত না হওয়ায় তাঁদের সমস্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে তাই নিয়ম শিথিল করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।