সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েতের সঙ্গে পুরভোটেরও দামামা বাজিয়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। পঞ্চায়েতের নির্বাচনের সঙ্গেই সেরে ফেলা হবে হাওড়া, বালি-সহ ৭ পুরসভার ভোটও। এমনই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ফিরহাদ। অর্থাৎ আগামি বছরের শুরুতেই রাজ্যের একাধিকর পুরসভার ভোটও সেরে ফেলতে চায় রাজ্য।
সূত্রের খবর, আগামি বছরের শুরুর দিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার প্রস্তাব ইতিমধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে নবান্ন। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট করাতে চায় রাজ্য। তবে ওই সময় শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচন নয়, একইসঙ্গে পুরভোটও সেরে ফেলতে চায় তারা। এমন কথাই শোনা গেল রাজ্যের মন্ত্রীর গলায়।
[আরও পড়ুন: ‘অনুব্রত মণ্ডল বাঘ, খাঁচায় আটকে রাখা যাবে না’, বীরভূমের সভা থেকে দাবি ফিরহাদের]
ফিরহাদ জানিয়েছেন, সারা বছর ধরে নির্বাচন চলতে থাকলে কাজে সমস্যা হয়। কাজ বাকি পড়ে যায়। তাই পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গেই পুরভোট সেরে ফেলতে চায় রাজ্য। হাওড়া, বালি-সহ অন্তত ৭টি পুরসভায় ভোট একইসঙ্গে হতে পারে।” জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি, পাঁশকুড়া, হলদিয়া, বুনিয়াদপুর, দুর্গাপুর, নলহাটি, কুপার্স ক্যাম্প, কালিম্পং, রায়গঞ্জ, ডোমকল, পূজালি ও কার্শিয়াং পুরসভার মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। এই পুরসভাগুলির সঙ্গে হাওড়া ও বালির ভোটও করিয়ে নেওয়া হবে বলেও মত ফিরহাদের। এদিকে হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিষয় নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তবে রাজ্যের তরফে ডিমিলিটেশনের কাজ সেরে ফেলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পুজোর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে। সেইমতো রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটপ্রক্রিয়া শুরু করার তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। পুজোর পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি কমবেশি নিজেদের মতো করে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে জনসংযোগ শুরু করেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দিয়েছেন, এই সভাগুলি থেকে মানুষকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ভাল কাজগুলি মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির কথাও মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: বালি খাদান নিয়ে অশান্তির জেরে যুবককে কুপিয়ে খুন! রাতভর বোমাবাজি, উত্তপ্ত সিউড়ি]