কৃষ্ণকুমার দাস: ফেব্রুয়ারি নয়, মার্চে কলকাতা পুরসভার (KMC) ভোট হতে পারে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিল সরকার। মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হল, মার্চে হতে পারে পুরভোট। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কলকাতায় পুরভোট হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে তা আরও একমাস পিছিয়ে দিল রাজ্য। রাজ্যের এই চিঠি থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতায় পুরসভা ভোটের দামামা বাজছে।
চিঠি আরও জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। তারপর পুরনির্বাচনের যথাযথ প্রস্তুতি নিতে খানিকটা সময় লাগবে। ওয়ার্ড বিন্যাস, সংরক্ষণ সম্পূর্ণ করতে অন্তত মাসখানেক সময় প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মার্চ মাসের শেষে ভোট হতে পারে। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, পুরভোটের জন্য প্রস্তুত দল। আগামী ১৭ তারিখ এই চিঠিই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পেশ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা পুরসভায় ভোট হলেও এখনই রাজ্যের অন্য কোনও পুরসভার ভোট হবে না বলেই জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বাড়িতেই রাখা হবে পর্যবেক্ষণে]
কলকাতা পুরসভায় দ্রুত নির্বাচন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদ কুমার সিং। সেই মামলায় ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যকে পুরসভার ভোটের নির্ঘন্ট জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা উত্তীর্ণ হচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিক রাতে জানিয়েছেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও যতদূর বুঝতে পারছি এখন ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। তাই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর আরও ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় হাতে রাখতে চায় রাজ্য সরকার। কিন্তু জেলার মেয়াদ উত্তীর্ণ বাকি পুরসভাগুলির ভোট নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না রাজ্য সরকার।”
[আরও পড়ুন: হোমের ভিতর নাবালকের ‘যৌন নির্যাতন’, গ্রেপ্তার কেয়ারটেকার]
এরপর মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে ফেব্রুয়ারির বদলে মার্চের শেষে কলকাতা পুরসভা ভোট করানো যেতে পারে বলে জানাল রাজ্য। ১৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত শুনানিতে রাজ্যের এই প্রস্তাবই দেওয়া হবে।