দিশা আলম, বিধাননগর: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার তাঁকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বারুইপুর মহকুমা আদালতের বিচারক। অপহরণের দু’দিন পর অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ, মোটা অঙ্কের মুক্তিপণের দাবিতে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখেছিলেন অভিযুক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাঙড় থানার শাঁকশহর এলাকার বাসিন্দা রহমত মোল্লার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল কাশীপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ মিদ্দের। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার ফিরোজ-সহ তাঁর শাগরেদরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে রহমতকে ভাঙড় থানার বালিগাদা এলাকায় ডাকে। ব্যবসায়ী সেখানে আসতেই ফিরোজ-সহ অন্যরা তাঁর মুখ চাপা দিয়ে গাড়িতে তুলে নিউটাউন এলাকায় নিয়ে চলে যায়। অভিযোগ, সেখানে দুদিন ধরে আটকে রেখে মুক্তিপণ চেয়ে রহমতের বাড়িতে ফোন করতে থাকে। অভিযোগ, অপহরণকারীরা প্রথমে ৫০ লক্ষ টাকা চায়। ওই টাকা দিতে অক্ষমতার কথা জানায় রহমতের পরিবার। পরে টাকার অঙ্ক কমিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। এর পরই রহমতের স্ত্রী রশিদা বিবি সমস্ত তথ্য দিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ নিউটাউন এলাকা থেকে অপহৃত রহমতকে উদ্ধার করে। ঘটনায় জড়িয়ে থাকার অভিযোগে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে। ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত তার খোঁজ করছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: সপ্তমীর মাঝরাতে নরবলি! রাজবাড়ির অর্ধরাত্রির পুজোয় ঢুকতে পারে না আমজনতা]
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশ স্টিকার লাগানো চারচাকা গাড়িতে এলাকায় ঘুরতেন। কলকাতা পুলিশ ও বিধান নগর পুলিশের একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্তার সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ ছিল। সেই যোগাযোগের সূত্র ধরে বহু অফিসারের বদলি পদোন্নতি তাঁর হাত দিয়েই হত বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হলে অভিযুক্ত ফিরোজ একাধিক সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের ফর্ম ছাপায়। টাকার বিনিময়ে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেন বলে অভিযোগ।