সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। নিয়ম মেনে অবসরের আগে নিজের উত্তরসূরির নাম কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই প্রথম প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজ করবেন সঞ্জীব খান্না। এর আগে কোনও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবেও দায়িত্ব সামলাননি তিনি।
আগামী ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তারপরই 'সিনিয়র মোস্ট' বিচারপতি সঞ্জীব খান্না প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব নেবেন। দেশের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন তিনি। তবে ওই পদে মোটে মাস ছয়েক থাকবেন তিনি। ২০২৫ সালের ১৩ মে তাঁরও অবসর নেওয়ার কথা। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের নিয়ম অনুযায়ী, অবসরের আগে প্রধান বিচারপতিই নিজের উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করেন। কেন্দ্র সরকার সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়। এবারও নিজের সুপারিশ কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
৪ দশকেরও বেশি সময় আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। ১৯৮৩ সালে দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস শুরু করেন তিনি। ২০০৫ সালে তিনি দিল্লি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। এক বছর পরেই দিল্লি হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদে উন্নীত হন তিনি। ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি খান্নাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। ঘটনাচক্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে কোনও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। ফলে এই প্রথম প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজ করবেন বিচারপতি খান্না।
গত পাঁচ বছরে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছেন বিচারপতি খান্না। এর মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে সম্মতি দেওয়া। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের বৈধতাকে স্বীকৃত দেওয়া এবং ইলেকট্রোরাল বন্ড বাতিলের মামলা।