সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের প্রধান বিচারপতির মুখে পাকিস্তানি কবির কবিতা। সোমবার সেই ঘটনার সাক্ষী থাকল সুপ্রিম কোর্ট। এদিনই অবসর নিলেন শীর্ষ আদালতের অন্যতম প্রবীণ বিচারপতি এমআর শাহ। তাঁর বিদায়ী অনুষ্ঠানেই পাকিস্তানি কবি ওবাইদুল্লা আলিমের কবিতা থেকে একটি লাইন আবৃত্তি করলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। বিখ্যাত গায়ক বব ডিলানের লেখাও তুলে ধরেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একসঙ্গে কাজ করেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও শাহ। কোভিড অতিমারীর সময়েও একাধিক মামলার বিচার করেছেন। একই বেঞ্চের সদস্য হিসাবে কোভিড মোকাবিলা সংক্রান্ত মামলার রায় দিয়েছেন তাঁরা। গত বছর ৯ নভেম্বর ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন চন্দ্রচূড়। ওই একই দিনে কলেজিয়ামের অন্তর্ভুক্ত করা হয় বিচারপতি শাহকে।
[আরও পড়ুন: আইপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি শুভমানের, বাহবা না জানিয়ে মুখ গোমড়া নেহরার, ভাইরাল ভিডিও]
বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “কলেজিয়ামে আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন বিচারপতি শাহ। তাঁর পরামর্শের ভিত্তিতেই খুব কম সময়ের মধ্যে সাতজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করা গিয়েছে।” যদিও দুই বিচারপতির পরিচয় ১৯৯৮ সাল থেকে। প্রথম দেখা প্রসঙ্গেও মজার ঘটনা তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি। গুজরাট হাই কোর্টে একটি মামলা লড়তে গিয়ে কালো গাউন পরতে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে কোনওমতে একটি গাউন জোগাড় করে দেন শাহ।
বক্তৃতার শেষে প্রাক্তন সহকর্মীকে বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েন প্রধান বিচারপতি। বিদায়ী বিচারপতিকে ‘টাইগার শাহ’ আখ্যা দেন। তারপরেই পাকিস্তানি কবির কবিতা থেকে বলেন, “আঁখ সে দূর সহি দিল সে কাঁহা জায়েগা, জানে ওয়ালা তু হামে বহত ইয়াদ আয়েগা”। অর্থাৎ, চোখের সামনে না থাকলেও আমাদের মনে থাকবেন আপনি। খুবই মিস করব আপনাকে। অন্যদিকে, বিদায়ী অনুষ্ঠানে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বিচারপতি শাহও।