সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে সুপ্রিম কোর্টের কড়া মন্তব্যে বিপাকে পড়তে পারেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামী শুক্রবারের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে, ওই দিনই পরবর্তী শুনানি। শিক্ষা দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের বয়ান অনুযায়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee) জেরা করতে চেয়ে সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা সংক্রান্ত মামলা সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। তাতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত অভিষেককে জেরায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। অর্থাৎ নতুন কর্মসূচি শুরুর আগে স্বস্তিতে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পি ভি নরসীমার বেঞ্চে মূল মামলাটি ছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই জেরা সংক্রান্ত। তাতেই উঠে আসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। এসএসসি (SSC), টেট নিয়োগ দুর্নীতির মামলা চলার মাঝে তিনি যে সাক্ষাৎকার (Interview) দিয়েছেন, তা প্রধান বিচারপতির গোচরে আনা হয়। তাতে তিনি হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে সাক্ষাৎকারের অনুবাদ চান।
[আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার! প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা]
ফের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি, কপিল সিব্বলরা জানান, সাক্ষাৎকারটি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভ (LIVE) সম্প্রচারে হয়েছে, কোনও সংবাদপত্রে নয়। তারপর প্রধান বিচারপতি নিজের অবস্থানে অনড় থেকে শুক্রবারের মধ্য়ে রিপোর্ট তলব করেন। সেইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় রীতিমতো বিরক্তির সুরেই মন্তব্য করেন, ”রাজনৈতিক নেতাদের মতো বিচারাধীন বিষয়ে চ্যানেলে বসে ইন্টারভিউ দেওয়া কাজ বিচারপতিদের কাজ নয়।” এমনকী তিনি এই মতামতও জানান যে ইন্টারভিউয়ের বিষয়টি সত্যি হলে শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পরামর্শ দেবে, এসএসসি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে অন্য বিচারপতিকে দেওয়া হোক।
[আরও পড়ুন: পুরনো দলের বিরুদ্ধে ঝোড়ো ইনিংস রাহানের, নেপথ্যে সেই মাহি ম্যাজিক]
‘চরম অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।’ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের পর এই বয়ানে ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি সকলের নজরে আনেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।