সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামনবমীতে (Ram Navami) হস্টেলের মেনুতে আমিষ নিয়ে চূড়ান্ত অশান্তি ছড়াল দিল্লির জওহরলাল নেহরু (JNU) বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসে ফের দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে হাতাহাতি, সংঘর্ষে জখম বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ২ নেতানেত্রী। অভিযোগের তির এবিভিপির বিরুদ্ধে। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছিল। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। সোমবার সকালে পালটা বাম ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানায় এবিভিপি (ABVP)। দিল্লি পুলিশের আশ্বাস, যথাযথ তদন্ত হবে। তবে স্রেফ আমিষ-নিরামিষ খাওয়া নিয়ে জেএনইউ ক্যাম্পাসে এত অশান্তি ছড়ানোয় ফের খবরের শিরোনামে দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। টুইটে তীব্র নিন্দা করেছেন ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ।
ঘটনার সূত্রপাত হস্টেলে রান্না করা নিয়ে। জেএনআইউ-র কাবেরী ছাত্রাবাসে প্রতি রবিবার মেনুতে মাংস থাকে। রামনবমীর রবিবারও মাংস রান্না হচ্ছিল হস্টেলের ক্যান্টিনে। অভিযোগ, এবিভিপির একদল পড়ুয়া মাংস রান্না বন্ধ করার নিদান জারি করেন। বলা হয়, রামনবমীর দিন কোনও আমিষ খাওয়া হবে না হস্টেলে, নিরামিষ খেতে হবে সবাইকে। তাতে আপত্তি জানান মেস সেক্রেটারি। মেনু অনুযায়ী রান্না হবে বলে জানান। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবিভিপির সদস্যরা। অভিযোগ, এরপরই মেস সেক্রেটারিকে মারধর করা হয়।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় চাকরির ফাঁদ, শহরের হোটেলে ডেকে তরুণীর শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ছাত্র সংসদ আইসার (AISA) সদস্যরা। তাঁদের উপর এবিভিপি সদস্যরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসার নেত্রী মধুরিমা কুণ্ডু। তাঁর কপাল ফেটে রক্ত ঝরে। আহত হন আইসার সর্বভারতীয় সভাপতি এন সাই বালাজিও।
রবিবারের অশান্তির ঘটনার ভিডিও টুইট করে ছাত্র সংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষ এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন। তাঁর বক্তব্য, ”বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে এবিভিপির গুন্ডামির বিরুদ্ধে সরব হন, ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করুন।”
জেএনইউয়ের এবিভিপি সভাপতি রোহিত কুমার অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, ”আমিষ খাবারে কোনও আপত্তি নেই আমাদের। তবে ওরা ষড়যন্ত্র করে রামনবমীর পুজো পণ্ড করার চেষ্টা করছিল। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে অশান্তি বেঁধেছে।”
এর প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি সমবেতভাবে আজ দুপুরে দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ক্য়াম্পাসে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদও। এই ঘটনার জেরে ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়।