সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Calcutta)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একযোগে বিক্ষোভে নামল এবিভিপি (ABVP)-এসএফআই (SFI)। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের সামনে পোস্টার হাতে অবস্থান শুরু করেন এবিভিপি সমর্থকরা। অন্যদিকে, একই দাবি নিয়ে এসএফআই সমর্থকরাও বিক্ষোভ দেখান। দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে অশান্তির আশঙ্কায় আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছিল পুলিশ। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে, বিকাশ ভবনের সামনেও একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি। বিকেলে সেখানে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেসময় তাঁর কনভয় আটকানো হয়। রাস্তাতেই তিনি বসে প্রতিবাদে শামিল হন। শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল-সহ কয়েকজন বিধায়ক। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা।
করোনা (Coronavirus) কাল কাটিয়ে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খুলছে স্কুল। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্যাম্পাসে ফিরছে পড়ুয়ারা। কিন্তু বাংলার পরিস্থিতি ভিন্ন। এখানে গত বছর স্কুল খুললেও কয়েকদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর সরস্বতী পুজোর পর সব ক্লাসের জন্য স্কুল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে একইসঙ্গে যাতে আগের মতো স্কুল খুলে বন্ধ না করে দিতে হয়, সেই দিকটাও নজর রাখা হচ্ছে। এবার এই স্কুল, কলেজ খোলার দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন কেউ কেউ।
[আরও পড়ুন: সুখবর! শর্তসাপেক্ষে খোলা বাজারে মিলবে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন]
এর আগে মঙ্গলবার একই দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পোস্টার, ব্যানার হাতে মিছিল করেছিল DSO, SFI. বৃহস্পতিবার ফের একই দাবিতে নামল এসএফআই। পাশাপাশি বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপিও একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। কোনওরকম অশান্তি এড়াতে তৎপর ছিল পুলিশ। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রচুর পুলিশ দেখা যায়। এসএফআই-এবিভিপির মধ্যে সামান্য ঝামেলা শুরু হতেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি এড়ানো যায়নি। আক্রান্ত হয় পুলিশও। এবিভিপির তরফেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুললে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। হাই কোর্টে এনিয়ে মোট ৪টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার শুনানির সম্ভাবনা।
[আরও পড়ুন: অতিমারী আবহে প্রথমবার নেতাজি ইন্ডোরে সব জেলার সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা]