shono
Advertisement

গ্রুপ ডি কর্মীর মৃত্যুতে ধুন্ধুমার মেডিক্যাল কলেজে, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, ভাঙচুর

এমারজেন্সি বিভাগে যাওয়ার গেট বন্ধ থাকায় সময়মতো চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ।
Posted: 07:00 PM Dec 26, 2021Updated: 07:14 PM Dec 26, 2021

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Kolkata Medical College Hospital)। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের হাতাহাতিতে ব্যাহত হয় পরিষেবা। অভিযোগ, হাসপাতালের এমারজেন্সিতে যাওয়ার গেট বন্ধ ছিল, তাই সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায় ওই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর চড়াও হন গ্রুপ ডি কর্মীরা। দু’পক্ষের হাতাহাতির মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীদের ঘরে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

রবিবার দুপুর নাগাদ অমর মল্লিক নামে মেডিক্যাল কলেজের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালের এমারজেন্সি (Emergency) বিভাগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁর সহকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের ৫ নং গেটটি বন্ধ ছিল। এই গেট দিয়ে গেলেই দ্রুত এমারজেন্সি বিভাগে পৌঁছনো যায়। কিন্তু তা বন্ধ থাকায় অনেকটা ঘুরে তাঁদের পৌঁছতে হয়েছে। জরুরি বিভাগে অমরবাবুকে ভরতি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গ্রুপ ডি বিভাগের অন্যান্য কর্মীরা।

[আরও পড়ুন: বাংলায় আরও বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা? সন্দেহভাজনের তালিকায় বিদেশফেরত ৪]

অভিযোগ, অমরবাবুর মৃত্যুর পর নিরাপত্তারক্ষীদের ঘরে ঢুকে তাঁদের উপর হামলা চালায় গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাঁদের ঘরে ঢুকে চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী সামান্য আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা সকলে হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক কর্মী। ঘটনা নিয়ে এক গ্রুপ ডি কর্মীর অভিযোগ, ”সিকিউরিটিকে বারবার বলা হচ্ছিল, গেটটা খুলে দিতে। কিন্তু তাঁরা মোবাইলে ব্যস্ত ছিলেন। আমাদের কথা শোনেননি। তাই অনেকটা রাস্তা ঘুরে যেতে হয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা হয়নি ওঁর। তা হলে বেঁচে যেতেন।”

[আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতনে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা, গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে বাবা-মা]

হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Election) ভোটের সময় নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালের ৫ নং গেটটি বন্ধ করা হয়েছিল।তারপর আর খোলা হয়নি। গেট খুলতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু সেই কারণে যে এমন একটা ঘটনা ঘটে যাবে, তা ভাবতেও পারেননি কেউ। সবমিলিয়ে, রবিবার হাসপাতালেরই কর্মীর মৃত্যু নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। ঘটনার বিস্তারিত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement