অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: তরুণী খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়ার (Howrah) সাঁকরাইল। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে সোমবার সন্ধেয় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে এলেও এখনও থমথমে এলাকা।
৫ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন হাওড়ার পোদরার নিউ বস্তি আজাদনগর এলাকার বাসিন্দা রুকসার খাতুন। শনিবার তাঁর দেহ মেলে তাঁর বাড়ির সামনের একটি পুকুরে। সেদিনই তরুণীকে খুনের অভিযোগ তুলে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে স্থানীয়রা পোদরার সত্যেন বসু রোড অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। ঘেরাও করেছিলেন নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রও। সেই ঘটনার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। সেই কারণে সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় সাঁকরাইলের বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
[আরও পড়ুন: ‘বাপের বেটা হলে শুভেন্দু নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াক’, সরাসরি চ্যালেঞ্জ সৌগতর]
সোমবার রাতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ময়দানে নামে পুলিশ। উত্তেজিত জনতার সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এদিন সকালেও বিক্ষোভকারীদের হঠাতে নামাতে হয়েছিল ব়্যাফ। এবিষয়ে স্থানীয় আরমান আলি বলেন, “এলাকার একটি মেয়েকে খুন করা হয়েছে। মিসিং ডায়েরি করা হলেও মেয়েটিকে খোঁজার চেষ্টা করেনি পুলিশ। মেয়েটির দেহ এলাকার পীর পুকুরে পাওয়া যায়। এলাকার একটি নির্মিয়মাণ বাড়িতে মেলে চটি ও ওড়না। ময়নাতদন্তের পরে পুলিশ জানাচ্ছে মেয়েটির স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। আমরা দুষ্কৃতীদের শাস্তি চাই।”