সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত পতাকার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল মাংসের টুকরো। সেই নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জামশেদপুরের (Jamshedpur) শাস্ত্রীনগর এলাকা। বাদানুবাদের জেরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দুটি দোকান ও একটি অটোয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আপাতত ওই এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। এলাকাজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশবাহিনীও।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। রাম নবমীর শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পরে দেখা যায়, একটি পতাকার সঙ্গে মাংসের টুকরো বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই পতাকা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় টাঙিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাস্ত্রীনগর এলাকা। পরের দিন একই দাবিতে ফের অশান্তি শুরু হয়। রবিবার দুই গোষ্ঠী একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। বিবাদ চরমে উঠলে দুটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার কবলে নওশাদ সিদ্দিকি, কেমন আছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক?]
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে কাঁদানে গ্যাস চালানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বিশাল র্যাফ ও পুলিশবাহিনী। রবিবার রাত থেকেই এলাকা জুড়ে কারফিউ জারি হয়েছে। অশান্তি ছড়িয়ে পড়া রুখতে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কয়েকজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
জামশেদপুরের এসএসপি প্রভাত কুমার-সহ ছয় পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তবে প্রভাত জানিয়েছেন, “রবিবার রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। তবে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। আপাতত বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরেই ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর কথা ভাবা হবে।” বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। খুব তাড়াতাড়িই অপরাধীদের ধরা যাবে বলেই অনুমান কর্তাদের।