স্টাফ রিপোর্টার: ভারতীয় ফুটবলে এও বোধহয় সম্ভব। একসঙ্গে একই ক্লাবের দু’টো দল কি না প্র্যাকটিস করছে। এমন অভাবনীয় দৃশ্য দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল দলে। ক্লাবের সরকারি দল অন্যান্য দিনের মতোই প্র্যাকটিস করল সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে। আবার ক্লাবকর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতার দল প্রেসিডেন্ট একাদশ নিজেদের ক্লাবের মাঠে প্র্যাকটিস সারলেন। একই দলের এমন অদ্ভুত অনুশীলন দেখে সমর্থকরাই হতভম্ব।
[জল্পনার অবসান, সুপার কাপ খেলবে দুই প্রধানই]
কট্টর সমর্থকরা বুঝে উঠতে পারছেন না কোন দলকে আসল ভেবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন। সল্টলেক সংলগ্ন মাঠের প্র্যাকটিস দেখতে আসা এক সমর্থক বিদ্রুপের সুরে বলছিলেন, “ক্লাব ভুল করছে। দু’বেলা দু’টো দলের প্র্যাকটিস থাকলে আমাদের দেখার সুযোগ থাকত। তখন আমরাই ঠিক করে দিতাম, কোন দলকে ভুবনেশ্বরে পাঠানো উচিত।” যাই হোক সকালে দু’টো দলের প্র্যাকটিস চলল পুরোদমে। কোয়েস ইস্টবেঙ্গল দলের কোচ আলেজান্দ্রো এখনও শহরে পা রাখেননি। তিনি কাল আসছেন। দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সোমবার। ডিকা, জবিদের নিয়ে মাঠে নামলেন সহকারী কোচ মারিও। সঙ্গে ছিলেন বাস্তব রায়। মূলত পাসিং ও পজেশনাল ফুটবলের ওপর জোর দিলেন তিনি। অর্থাৎ আলেজান্দ্রোর জেরক্স কপি দেখা গেল মারিওর প্র্যাকটিসে। পরে মারিও হাস্যচ্ছলে বলছিলেন, “আমরা সুপার কাপের খেলা ভেবেই প্র্যাকটিস শুরু করলাম। প্রত্যেকেই ভাল ফর্মে রয়েছে। ভুবনেশ্বরে খেলতে গিয়ে আশা করি আমরা খারাপ রেজাল্ট করব না। তবে জানি না এবারের না পরের সুপার কাপটা আমরা খেলব।”
[নাম বদলে সুপার কাপ খেলবে ইস্টবেঙ্গল, নিযুক্ত হল নতুন কোচ]
কোলাডো অসুস্থ, তাই ছিলেন না। এনরিকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁর ফিরে আসা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। বাকি চার বিদেশি সকলেই হাজির ছিলেন। প্রেসিডেন্ট একাদশ দলে এদিন দু’জন এলেন না। এঁরা হলেন সুরাবুদ্দিন ও হীরা মন্ডল। দু’জনের নাকি অফিস খেলা রয়েছে। তবে এদিন আরও কয়েকজন নবাগত ফুটবলার যোগ দিয়েছেন।