শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: লটারি (Lottery) খেলায় কারচুপির অভিযোগ। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কোচবিহারের হলদিবাড়ির দেওয়ানগঞ্জে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামাতে হয় পুলিশ।
ভাগ্য ফেরানোর আশায় বহু মানুষ প্রতিদিন লটারির টিকিট কেনেন। সেই কথা চিন্তা করে বৃহস্পতিবার দেওয়ানগঞ্জে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে লটারি খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। উপহারের তালিকায় ছিল, বাইক, ফ্রিজ, টোটো-সহ একাধিক জিনিস। জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল ১০০১ থেকে ৫০,৯৯৯ নম্বর পর্যন্ত টিকিটে এদিন খেলা হবে। অর্থাৎ মোট ৪৯,৯৯৯ টিকিটে খেলা হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় খেলা। সেখানে ছিলেন প্রচুর মানুষ।
[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩,৬০০, অনেকটা কমল RT-PCR টেস্টের খরচ]
অভিযোগ, ৪৯,৯৯৯ টি খেলার কথা বলা হলেও ৫৩ হাজারের ঘরে গিয়ে প্রথম পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এরপরই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। কারচুপির অভিযোগ তুলে চেয়ার-টেবিলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
যারা টিকিট কিনেছিলেন তাঁদের অধিকাংশই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে। পরিকল্পনামাফিক তাঁদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন। সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুলিশের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে লটারি রাতারাতি ভাগ্য বদলে দিয়েছে বহু মানুষের। বেশ কয়েকজন জিতেছেন কোটি টাকা। সদ্যই বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলও কোটি টাকা পেয়েছেন লটারিতে। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, সত্যিই টাকা পেয়ে থাকলে তা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেবেন।