সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) কাছে হরিয়ানার গুরুগ্রামের এক মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। প্রিন্সিপালের চড় খেয়ে ‘অপমানে’ আত্মহত্যার পথ বেছে নিল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (School Student)। কানের লম্বা দুল, বড় নখ এবং মোবাইল নিয়ে স্কুল আসায় প্রিন্সিপাল ওই ছাত্রীকে ভর্ৎসনা করেন। তাকে স্কুল থেকে বার করে দেওয়ার কথাও বলা হয়। ছাত্রীর বাবা-মা প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। তার পরই গত ৯ এপ্রিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে ওই ছাত্রী। তার এক কাকু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বছর পনেরোর ওই ছাত্রী একদিন স্কুলে গেলে প্রিন্সিপালের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে। ওই ছাত্রী আচার-আচরণ জানে না বলে অভিযোগ করেন প্রিন্সিপাল। ছাত্রীটিকে সবার সমানে চড়ও মারেন তিনি। পরের দিন ছাত্রীর বাবা-মাকে স্কুলে ডেকে পাঠান। তাঁরা গিয়ে প্রিন্সিপালকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, অনলাইন ক্লাসের জন্য মেয়েকে মোবাইল দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সে যুক্তি প্রিন্সিপাল শুনতে চাননি। পরের দিন ৯ এপ্রিল ওই ছাত্রীর ভাইকে নিয়ে ফের প্রিন্সিপালের কাছে যান তাঁরা। কিন্তু তাঁদের দেখে এবার রেগে যান প্রিন্সিপাল। এবং বলেন দুই ভাই বোনকেই স্কুল থেকে বার করে দেওয়া হবে। এই ছেলেটিও সহবৎ জানে না।
[আরও পড়ুন: অক্সিজেনের আকাল, মধ্যপ্রদেশের সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু অন্তত ৬ করোনা রোগীর]
বাড়ি ফিরে মেয়েকে চিন্তা না করতে বলেন। আবার প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলে সব ঠিক করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু তাদের মেয়ে কোনও উত্তর না দিয়ে নিজের ঘরে চলে যায়। অনেক্ষণ সেখান থেকে না আসায় তার ভাই গিয়ে ডাকাডাকি করে। কোনও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঢুকলে দেখা যায়, ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ছাত্রীটির মৃত্যু খবর পেয়ে ওই স্কুলের অভিযুক্ত প্রিন্সিপালও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এমনকী অন্য পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্রায়ই তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন প্রিন্সিপাল। এর পর সম্প্রতি থানায় প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।