সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। এবারের ঘটনা আরও মর্মান্তিক। বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুরের (Kanpur) বাসিন্দা দশম শ্রেণির ছাত্রের। খেলার মাঝে দৌড়ে রান নিতে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। সংজ্ঞা হারানো সঙ্গীর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে খেলার মাঠে উপস্থিত বন্ধুরা। কিন্ত ব্যর্থ হয় তারা। এরপর দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও বাঁচানো যায়নি শেষ পর্য্ন্ত। চিকিৎসকরা জানান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কিশোরের।
১৬ বছরের কিশোরের নাম অনুজ। বুধবার কানপুরের বিলহাউরের বিসি গ্রাউন্ডে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল সে। ঘটনার সময় ২১ রান ব্যাট করছিল সে। তখনই দৌড়ে রান নেওয়ার সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং জ্ঞান হারায়। সঙ্গী কিশোররা জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় সিএইচসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও ততক্ষণে অনুজের ঠোঁট নীল হয়ে গিয়েছে, নাড়ির স্পন্দনও পাওয়া যাচ্ছিল না। ডাঃ গনেশ ও ডাঃ অভিষেক সিং অনুজকে পর্যবেক্ষণ করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতালে তরফে জানানো হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্র কিশোরের।
[আরও পড়ুন: জয়ের রেকর্ডে একাসনে মোদি-বুদ্ধরা! তবুও অটুটই থাকছে বামেদের নজির]
উল্লেখ্য, গত পরশু উত্তরপ্রদেশেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এক যুবকের। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দু’বার হাঁচি দিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরিবার জানায়, সকালে একবার বুকে ব্যথা হয়েছিল। তার আগের দিন রাজস্থানে (Rajasthan) একটি মন্দিরে দেবতার মূর্তিতে প্রণাম করেই মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। এছাড়া গত কয়েক মাসে একধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে নাচতে নাচতে।
[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারির ৩ দিনের মধ্যেই আহমেদাবাদের আদালতে জামিন সাকেত গোখলের, উচ্ছ্বসিত তৃণমূল]
সব মিলিয়ে আচমকা হদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা হুড়মুড় করে বাড়ছে। বাদ যাচ্ছেন না তথাকথিত ‘স্বাস্থ্য সচেতন’রাও। রাজু শ্রীবাস্তবের (Raju Srivastava) মতো সেলিব্রেটিরা অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন জিম করার সময়। পরে তাদের মৃত্যু হয়। প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ ‘মহামারী’র হয়ে উঠল কেন ‘স্ট্রোক’ তথা ‘হার্ট অ্যাটাক’? বিশেষজ্ঞরা এর জন্য অস্বাস্থ্যকর জীবনভ্যাসকে দায়ী করছেন। এইসঙ্গে কোভিডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাদের মতে, বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও অনেক ক্ষেত্রে নিঃশব্দে শরীরের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি করেছে মহামারী।