সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের পোশাকবিধি না মানায় কান ধরে ওঠবোসের শাস্তি। আর তাতে অসুস্থ হয়ে পড়ল আমেদাবাদের মানিনগরের ললিতা গ্রিন লনস স্কুলের পঞ্চম শ্রেনির এক ছাত্রী। শেষপর্যন্ত হাসপাতালেও ভর্তি করতে হল তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার।
[ফের নতুন ৫০০ টাকার নোট আনল RBI]
জানা গিয়েছে, স্কুলে আসার সময় প্রত্যেক ছাত্রীকে মাথার দু’পাশে বিনুনি করতে হবে। এমন নিয়মের উল্লেখ রয়েছে স্কুলের পোশাকবিধিতে। কিন্তু সেই নিয়ম না মানায় সোমবার কান ধরে ওঠবোসের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল ওই ছাত্রী-সহ আরও দশজনকে। কিন্তু অত্যাধিক গরমে ওঠবোস করতে করতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে পঞ্চম শ্রেনির ছাত্রীটি। শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে, শেষপর্যন্ত তাকে ভর্তি করতে হয় হাসাপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। পড়ুয়াদের প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছাত্রীর কাকা ভূপেশ প্রজাপতি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই স্কুল খুলেছিল। গরমের ছুটির পর সোমবারই তাকে স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মাথায় ফোঁড়া হওয়ায় দু’টি বিনুনীর বদলে একটিই বাঁধা ছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনওকিছু না বিবেচনা করেই শাস্তি দেয়। আর এই কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। আমরা ভেবেছিলাম স্কুলের শিক্ষিকারা হয়ত এই ব্যাপারটি লক্ষ্য করবেন। কিন্তু কেউ কিছু না দেখেই শাস্তি দিয়ে দেয়।’ এছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, পোশাকবিধি না মানায় প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে নাকি পড়ুয়াদের ওঠবোস করানো হয়েছিল। যদিও স্কুলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়াদের মাত্র ৭ থেকে ৮ মিনিটের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে স্কুলের একজন ট্রাস্টি মনোজ অঙ্কলেশ্বর্য বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় শাস্তির যে ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে, সেটা সত্যি। কিন্তু ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় শাস্তি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা পুরোপুরি মিথ্যে। যদি ওই ছাত্রীর কোনও সমস্যা থাকত, তাহলে তার বাড়ির লোকের উচিত ছিল সেটা স্কুলকে জানানো। কিন্তু তাঁরা সেটা করেননি।’
[হাওড়া আদালতে ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন]
এদিকে, মেয়েটি যেখানে ভর্তি সেই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ তেজস প্যাটেলের মতে, অনেকক্ষণ ওঠবোস করার কারণে মেয়েটির পায়ের মাংসপেশিতে টান ধরেছিল আর তাই তার হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে আগের তুলনায় সে সুস্থ রয়েছে। অভিভাবকরা চাইলে তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। গোটা ঘটনাটি জানার পরেই তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক নভনীত মেহতা।
[OMG! সলমনের বাড়ির শৌচালয়ে লুকিয়ে বসে কে?]
The post বিনুনি না বাঁধায় শাস্তি! হাসপাতালে ভর্তি পঞ্চম শ্রেনির ছাত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.