শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ফেসবুকে (Facebook) আপত্তিকর ছবি পোস্ট করা হয়েছে। তা জানতে পেরেই আত্মঘাতী নবম শ্রেণির ছাত্রী। এমনই অভিযোগ উঠেছে জামুরিয়া থানার মণ্ডলপুর গ্রামে। ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধৃত যুবকের নাম অনিমেষ মণ্ডল। অনিমেষের পাশাপাশি তার আরও দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রীর বাবা অক্ষয় গড়াই। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী বহুদিন ধরেই নবম শ্রেণির ছাত্রীকে উত্যক্ত করছিল ওই যুবক। নিয়মিত ফোন করে তাকে বিরক্ত করত। কুপ্রস্তাব দিত। একটা সময়ের পর যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী। তারপরও যুবক তাকে আপত্তিকর প্রস্তাব দিত। জোর করে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করত।
[আরও পড়ুন: মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চারদিনে মৃত্যু ৬ শিশুর, অজানা জ্বরে বেড়েই চলেছে উদ্বেগ]
অক্ষয় গড়াইয়ের দাবি, এ নিয়ে এর আগে অনিমেষকে হুঁশিয়ার করেছিলেন তিনি। অনিমেষের পরিবারকেও বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। উলটে প্রতিশোধ নিতে যাত্রীর ছাত্রীর সিঁথিতে সিঁদুর পরা অবস্থায় ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে যুবক। আর তা জানতে পেরেই নবম শ্রেণির ছাত্রী অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ।
শুক্রবার দুপুরে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এরপরই অক্ষয় গড়াই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অনিমেষ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শোনা গিয়েছে, যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ভিত্তিতে মামলা নথিভূক্ত করা হতে পারে। অনিমেষ ও তার সঙ্গীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন অক্ষয় গড়াই। অভিযুক্তরা যাতে কোনওভাবে ছাড়া না পায়, সেই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।