shono
Advertisement

Breaking News

পায়রা চুরি! নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে পিটিয়ে খুন পূর্ব বর্ধমানে

বাড়িতে পায়রা পোষার শখ ছিল মৃত ছাত্রের।
Posted: 04:29 PM Dec 23, 2023Updated: 05:18 PM Dec 23, 2023

ধীমান রায়, কাটোয়া: বাড়িতে পায়রা পোষার শখ ছিল নবম শ্রেণির ছাত্রের। বাড়ির পায়রা উড়ে চলে যায় পাশের গ্রামে। দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে খোঁজাখুঁজি করে পায়রা আনার সময়ই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, পায়রা চোর সন্দেহে তাদের আটকে রাখে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। করা হয় মারধর। পরেরদিন সকালে মাঠ থেকে উদ্ধার হয় নবম শ্রেণির ওই কিশোরের মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের।  

Advertisement

জানা গিয়েছে, মৃত ওই কিশোরের নাম বিশ্বজিৎ দাস (১৬)। বাড়ি কেতুগ্রামের পাণ্ডুগ্রামে। পাণ্ডুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। শুক্রবার বিকেলের দিকে বিশ্বজিৎ তার দুটি পায়রা দেখতে পাচ্ছিল না। এর পর তার দুই বন্ধু বাবুসোনা দাস ও শুভ দাসকে সঙ্গে নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তিনজনে মিলে পায়রা খুঁজতে পাণ্ডুগ্রামের পাশে মাসুন্দি গ্রামে যায়। সেখানে গিয়ে একটি বাড়ির চালের উপর তারা পায়রা বসে থাকতে দেখে। পায়রাগুলো ধরার চেষ্টা করে বিশ্বজিৎ ও তার বন্ধুরা। তাদের সঙ্গে করে মশারির জালও ছিল। সেই সময়ই ওই গ্রামের কয়েকজন এসে ওদের আটকে রেখে মারধর করে।

[আরও পড়ুন: কাজ ফুরোলেই… অভিমানে পুরস্কারের টাকা ফিরিয়ে দিলেন উত্তরকাশীর ‘ত্রাতা’ র‍্যাট হোল মাইনাররা]

মৃতের বাবা বিকাশ দাস জানান,”শুভ কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসে। এর পর শুভ গ্রামে এসে খবর দেয় ওদের দুজনকে আটকে মারধর করা হচ্ছে। তার পর বাবুসোনার বাড়ি থেকে লোকজন এবং আরও কয়েকজন মাসুন্দি গ্রামে যায়। সেখানে গিয়ে বাবুসোনাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আমার ছেলেকে দেখতে পাওয়া যায় নি। তার পর থেকে বাড়িও ফেরেনি।” শুক্রবার রাতেই পাণ্ডুগ্রাম থেকে লোকজন মাসুন্দি গ্রামে যায়। সেখানে কথা বলে বাবুসোনাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। কিন্তু বিশ্বজিৎকে দেখা যায়নি সেখানে। 

প্রথমদিকে বাড়ির লোকজনের ধারণা ছিল বিশ্বজিৎ হয়তো মাসুন্দি গ্রামে তাড়া খেয়ে ছুটে অন্য কোথাও পালিয়ে গিয়েছে। তার পর ভয় পেয়ে বাড়িতে আসেনি। কিন্তু সারারাত ধরেই খোঁজাখুঁজির পরও তার হদিস মেলেনি। শনিবার ভোরে মাসুন্দি গ্রামের কাছে মাঠে বিশ্বজিৎকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে কেতুগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিকাশবাবুর অভিযর, তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে মেরে দেহটি রাতের দিকে মাঠে ফেলে দিয়ে আসা হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘মোদির উত্তরসূরি হবেন আরও কট্টর হিন্দুত্ববাদী’, কার কথা বললেন প্রশান্ত কিশোর?]

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে মাসুন্দি গ্রামের কাছে একটি মাঠ থেকে বিশ্বজিতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ পায়রা চুরি করতে এসেছে সন্দেহ করে মাসুন্দি গ্রামের লোকজন তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তার পর দেহটি মাঠে ফেলে দিয়ে যায়। এদিন দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে দেহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার