সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী তারা আমাদের পড়শি। কথাবার্তার ধরন, চালচলন, খাওয়া-দাওয়া, আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর মিল। এমনকী পোশাক-আকাশেও একে অপরের তারিফ না করে পারে না। কিন্তু সমস্যা হল এই প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক একেবারেই মজবুত নয় ভারতের। হ্যাঁ কথা হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের। কিন্তু ভারতীয়দের একাংশের ‘পাকিস্তানি’ পোশাকের প্রতি ঠিক কতটা ভালবাসা রয়েছে, সে ছবিই এবার ধরা পড়ল। সৌজন্যে একটি পোশাকের শোরুম।
লুধিয়ানার ভাই রন্ধীর সিং নগরের একটি পোশাকের দোকান হঠাৎই চর্চার শীর্ষে উঠে এসেছে। সবুজ রঙের বোর্ডের উপর বড়বড় করে লেখা ‘পাকিস্তানি অ্যাটায়ার’। মহিলাদের ফ্যাশানেবল (Fashion), ট্রেন্ডি পোশাকের সম্ভার নিয়েই ক্রেতাদের স্বাগত জানাচ্ছে এই শোরুমটি। লুধিয়ানার এই দোকানই এখন নেটদুনিয়ার প্রশংসা কুড়োচ্ছে। শুধু ভারতীয়রাই নন, পড়শি দেশের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরাও পাকিস্তানি অ্যাটায়ারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনেকে লিখেছেন, পোশাক ও নামের মধ্যে দিয়ে যেভাবে নিঃশব্দে সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছে এই শোরুম, তা সত্যিই নজিরবিহীন। পাকিস্তানিরা আবার সীমানা পেরিয়ে লুধিয়ানার এই দোকানে আসার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। এমন অভূতপূর্ব ভাবনার জন্য শোরুমের মালকিনকে ধন্যবাদ জানাতে চান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: COVID-19: ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট রুখতে টিকা মিশ্রণের ভাবনা AIIMS-এর]
দেশের মাটিতে কেন দোকানের নাম ‘পাকিস্তানি অ্যাটায়ার’ (Pakistani Attire) রেখেছেন মালকিন পুনীত কৌর? এর জন্য পাড়া-প্রতিবেশী কিংবা স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়তে হয়নি কখনও? এক সংবাদমাধ্যমকে পুনীত বলেন, “গত সাত বছর ধরে পাকিস্তানি স্যুট, দুপাট্টা, কুর্তি ইত্যাদি আমদানি করে চলেছি পড়শি দেশ থেকে। আমার কালেকশন সকলেরই মনে ধরে। নামের সঙ্গে ‘পাকযোগ’ থাকলেও কখনওই কোনওরকম নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয়নি। এই উদ্যোগে বাড়ির লোকেদেরও পাশে পেয়েছি।” এরপরই যোগ করেন, “আসলে পাকিস্তানি ফ্যাশন একেবারে অন্যরকম। তাদের চুরিদার, ওড়শার জিডাইন পাঞ্জাবি মহিলাদের দারুণ পছন্দের। তাছাড়া ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে এই সমস্ত বিষয়ে বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই। পাকিস্তান থেকেও অনেক ক্রেতা আসেন এখানে। সকলে প্রশংসাই করেন।”
নিন্দুকরা অবশ্য বলছেন, দেশের মাটিতে এভাবে পাকিস্তানের প্রচার করা ঠিক নয়। তবে পুনীত কৌর দু’দেশের বাসিন্দাদের ভালবাসা পেয়ে আপ্লুত।