নব্যেন্দু হাজরা: আমরণ অনশন তুললে তবেই সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের জন্য় সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য প্রচুর জরুরি কাজের মধ্যে আন্দোলনকারীদের জন্য ৪৫ মিনিট সময় বের করতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যেই আলোচনা সারতে হবে। শনিবার সন্ধের ইমেলে সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
একটানা ১৪ দিন ধরে অনশন করছেন কিছু জুনিয়র ডাক্তার। ক্রমাগত তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। ইতিমধ্য়ে কয়েকজনকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এই মুহূর্তে তাঁদের অনশন প্রত্যাহারের আরজি জানিয়েছেন। ইমেলে রাজ্য সরকারের স্পষ্ট দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির মধ্যে অধিকাংশই মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকিগুলির জন্য কাজ চলছে। এর মধ্য়ে সোমবার বিকেল পাঁচটায় নবান্ন সভাঘরে ১০ প্রতিনিধিকে বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আমরণ অনশন প্রত্যাহার হলে তবেই বৈঠক হবে। ইমেলে সে কথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
লেখা হয়েছে, আপনাদের সমস্ত দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পরেও আপনারা বিস্তারিত আলোচনা চাইলে, আপনাদের অনুরোধ মতোই মুখ্যমমন্ত্রী সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্ন সভাঘরে ১০ প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। তবে আমরণ অনশন তোলার পরই এই বৈঠক হবে।" আরও জানানো হয়েছে, "মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ মিনিট বৈঠকের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। ওই দিন সাড়ে চারটের মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসক প্রতিনিধিদের নবান্নে উপস্থিত হতে হবে। জবাবি ইমেলে ১০ প্রতিনিধির নাম পাঠাতে হবে।" তবে এ নিয়ে এখনও আন্দোলনকারীদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
উল্লেখ্য, দুপুরে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনালাপেও একাধিকবার অনশন তোলার আরজি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনশন তুললে তবেই বৈঠক সম্ভব। সোমবার বৈঠকের কথা জানিয়েও আন্দোলনকারীদের সতর্ক করেছিলেন। বলেছিলেন, "আমার অনেক কাজ থাকে। আমাকে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রেখো না। ঠিক ৫টায় নবান্নে এসো।" তাঁর সেই বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেল মুখ্যসচিবের ইমেলে।