ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন মঞ্চ ভেঙে পড়বে না তো? সঙ্গে সঙ্গে হাসির রোল উঠল মঞ্চ থেকে। তখনও মঞ্চে উপস্থিত ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সি, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এর মধ্যে আবার কে একজন উত্তর দিল “দিদি কোনও চান্স নেই, ২ হাজার উঠুক বা ৫ হাজার।” হাসির রোল আরও তীব্রতর হল। প্রতিবছরই একুশের মঞ্চ সাজানো হয় শক্ত করেই। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু এ বছর যেন মঞ্চের সহনশীলতা নিয়ে একটু বেশি সাবধানী মুখ্যমন্ত্রী। কারণটা অবশ্য আন্দাজ করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। কদিন আগেই মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় যে দুর্ঘটনা ঘটল তার পুনরাবৃত্তি তো কেউই চান না। দুর্ঘটনায় সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির যেমন আশঙ্কা থাকে তেমনি এক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতির আশঙ্কাও নেহাত কম নয়। তাই কোনও ঝুঁকি নিয়ে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী।
[সাংগঠনিক ব্যর্থতার জের, আট জেলার সভাপতিকে ছেঁটে ফেলল বঙ্গ বিজেপি]
প্রতি বছরের মতো এবছরও শহিদ দিবসের আগের সন্ধ্যায় সভামঞ্চ পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চের উপর থেকেই গোটা ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন তৃণমূলনেত্রী। সঙ্গে ছিলেন সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়দের মত তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পাঁচজন আইপিএস অফিসারও। তাদের কাছে মঞ্চ-সহ গোটা এলাকার নিরাপত্তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন মমতা। সেই সঙ্গে শহরে যান নিয়ন্ত্রণের কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাও খতিয়ে দেখেন তৃণমূলনেত্রী। ২৫ বছরের একুশের সভায় এবার রেকর্ড জমায়েতের আশায় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনকে।
[ধীরে ধীরে কমছে চোখের দৃষ্টি, অন্ধকারই সর্বক্ষণের সঙ্গী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের]
মঞ্চ পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী সকলের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেন। কাজের দিনে সভা করার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তৃণমূলনেত্রী। সেই সঙ্গে শহরে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য যতটা সম্ভব সাবধানতা অলম্বনের নির্দেশ দেন পুলিশ আধিকারিকদের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাতে রোজকার জীবনযাত্রায় কোনও প্রভাব না পড়ে সেদিকেও যথাসম্ভব নজর রাখা হবে। সেই সঙ্গে সভায় যারা আসছেন তাদের কাছেও সহযোগিতা প্রার্থনা করেন তৃণমূলনেত্রী।
The post মঞ্চ ভেঙে পড়বে না তো? মোদির সভায় দুর্ঘটনার জেরে প্রশ্ন ‘সাবধানী’ মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.