কৃষ্ণকুমার দাস: ফের বাড়ল দুর্গাপুজোর অনুদান। ৬০ হাজার থেকে বেড়ে হল ৭০ হাজার টাকা। ছাড় দেওয়া হল বিদ্যুতের বিলেও। বিদ্যুতের বিলের দুই তৃতীয়াংশ মকুব করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
প্রতি বছর রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য়ের তরফে আর্থিক সাহায্য করা হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হত। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে অনুদানের পরিমান কার্যত দ্বিগুণের বেশি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, করোনাকালে ‘স্পনসর’ পাচ্ছিল না পুজো কমিটিগুলি। কমেছিল বিজ্ঞাপনও। সেই সময় রাজ্যের ক্লাবগুলির কাছে কল্পতরু হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫০ হাজার টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করেন তিনি। পরের বছর বাড়ে আরও ১০ হাজার। এই বছর অনুদান আরও ১০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে ক্লাবগুলিকে অনুদানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াল ৭০ হাজার টাকা। তবে শুধুমাত্র নগদ অনুদান নয়, বিদ্যুৎ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে পুজো কমিটিগুিলিকে বড় ছাড় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মেনে পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ খরচের ২/৩ ভাগ ছাড় দেওয়া হল। জমা দিতে হবে ১/৩ ভাগ। অর্থাৎ ১০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল হলে মাত্র ৩৩.৩৩ শতাংশ দিতে হবে।” CESC এবং পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন নিগম দুই এলাকাতেই কার্যকর এই ছাড়।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর ছাত্রমৃত্যুতে জুড়ল ব়্যাগিংয়ের ধারা, WhatsApp গ্রুপ খুলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে, দাবি পুলিশের]
এদিন মমতা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের বিলের দুই তৃতীয়াংশ দিতে হবে না। বিদ্যুত সংযোগের জন্য আবেদনও জানানো যাবে বিনামূল্যে। দমকল পরিষেবাও মিলবে বিনামূল্যে। এবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর রেডরোডে পুজো কার্নিভ্যালে অনুষ্ঠিত হবে। যে সমস্ত পুজো কমিটি কার্নিভ্যালে অংশ নেবে না তারা দশমীর দিন থেকেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে পারবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা নয় যে আমরা ক্লাবকে কিনছি।” এরপর তিনি মজা করে বলেন, “এবার হাফ করে দিচ্ছি। ঝগড়া করবেন তো! সরকারের অত টাকা নেই তো ? কী করব বলুন! আমাদের প্রয়োজন হলে আমাদের দেখবেন তো?”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল পুজোর বৈঠক। সেখান থেকে রাজ্যের মন্ত্রী, আমলাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা। হাজির ছিলেন কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন একাধিক পুজো কমিটির সদস্যরা। ভারচুয়ালি হাজির ছিলেন জেলার পুজো কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে পুজো কমিটিগুলির জন্য একগুচ্ছ গাইডলাইনস তৈরি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম মজবুতের পরামর্শও দেন।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর ছাত্রমৃত্যুতে জুড়ল ব়্যাগিংয়ের ধারা, WhatsApp গ্রুপ খুলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে, দাবি পুলিশের]