রমেন দাস: ভিনরাজ্যে পড়তে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে টালিগঞ্জের ছাত্রীর। রবিবার মৃতার বাবাকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ দিলেন নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়েরের। পাশাপাশি পর্যাপ্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
যাদবপুর নিয়ে শোরগোলের মাঝেই প্রকাশ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের হস্টেলে রহস্যজনকভাবে কলকাতার এক পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর। টালিগঞ্জের বছর ষোলোর ওই পড়ুয়া বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলেন। স্বপ্ন ছিল ডাক্তারি পড়ার। তাই নিটের প্রস্তুতি নিতে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিশাখাপত্তনমের একটি প্রতিষ্ঠানে ভরতি হয়। গত এক বছর সেখানেই আছে সে। একই সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণি এবং নিটের প্রস্তুতি চালাচ্ছিল ওই পড়ুয়া।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর ছাত্রমৃত্যু কাণ্ডে নয়া মোড়, আচমকাই পদত্যাগ করলেন ডিন অফ সায়েন্স]
পরিবারের দাবি, গত ১৪ জুলাই রাত ১১ নাগাদ হস্টেলের সুপার ওই পড়ুয়ার বাবা ফোন করে জানান, ৪ তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে টালিগঞ্জের ওই ছাত্রী। পরের দিন বিশাখাপত্তনমে যান পড়ুয়ার বাবা-মা। ১৬ জুলাই হাসপাতালে মৃত্যু হয় মেয়ের। মৃতার বাবা জানিয়েছে, প্রথমে যখন তাঁদের মেয়েকে ভিডিও কলে দেখানো হয়, তখন সে সুস্থই ছিল। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে মৃত্যু হল হস্টেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য। মেয়ের উপযুক্ত চিকিৎসা করানো হয়নি বলেই দাবি করেছেন। যাদবপুর কাণ্ডের মাঝে এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে। রবিবার দুপুরে মৃতার বাবা সুকদেব সাহাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, উচ্চপর্যায়ের তদন্তের জন্য এই রাজ্যের সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। খুব শীঘ্রই যাতে রাজ্য থেকে একটি দল পাঠানো যায় ঘটনাস্থলে, সে বিষয়েও রাজ্য চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দিয়েছেন, বিচার পাবেনই ওই নাবালিকা।