দিপালী সেন: বারবার কেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিমানেই বিভ্রাট? এর দায় কার? কর্তৃপক্ষের কাছে উত্তর চাইতে বিক্ষোভের পথে দমদম বিমানবন্দরের (DumdDum Airport) কর্মচারীরা। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরের প্রশাসনিক দপ্তরে গিয়ে এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমানবন্দরের কন্ট্রাক্টার্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) অধীনস্ত এই ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি বরুণ নট্ট বলেন, ‘‘এটা একবারের ঘটনা নয়। বারবার হচ্ছে। এটার দায়িত্ব কার? আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কোমরে ও অন্যান্য জায়গায় চোট লেগেছে। এর আগেও তাঁর বিমানকে ৪৫ মিনিট ধরে অবতরণ করতে দেয়নি। এতদিন কিছু বলিনি। কিন্তু এবার আমরা বিক্ষোভ দেখাব।’’
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ ও বিমানবন্দরের কন্ট্রাক্টার্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি সৌগত রায়, আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারের বিক্ষোভে শামিল হবেন বলে জানিয়েছেন বরুণ নট্ট। থাকবেন বিমানবন্দরের কর্মচারীদের সকলেই। বরুণবাবু বলেন, ‘‘আমরা মারাত্মক প্রতিবাদ, বিক্ষোভ তো দেখাবই। উত্তর না পেলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেখে নেব।’’
[আরও পড়ুন: ব্রিটিশ বিরোধিতায় আজও রবিবার হয় ক্লাস, বাংলার এই বিদ্যালয়কে ‘জাতীয় স্কুল’ ঘোষণার আরজি]
গত সপ্তাহে বারাণসী সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সমাজবাদী পার্টির হয়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে শুক্রবার বিমানে চড়ে কলকাতায় ফেরেন তিনি। বিমানটি দুপুর ২টো ২৮ মিনিটে বারাণসী থেকে ওড়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সর্বক্ষণের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। কলকাতায় নামার পনেরো মিনিট আগেই বিভ্রাট হয় বিমানটিতে। কলকাতায় বিমান নামার আগে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। দু’দিকে দুলতে দুলতে বিমানটি নেমে আসতে থাকে। এক নিমেষে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত নেমে আসে সেটি।
[আরও পড়ুন: যাত্রী সুবিধার্থে কলকাতা স্টেশনেই তৈরি হবে বাস টার্মিনাস, চিহ্নিত ৮ হাজার বর্গফুট এলাকা]
এই ঘটনায় DGCA’র কাছে রিপোর্ট তলব করে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব নিজে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (AAI) চিঠি লেখেন। বিমানটির পাইলট প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে এয়ারপকেটে পড়ার কথা উল্লেখ করেন। সূত্রের খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য এয়ার পকেটে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর চপারটি। তাই বড় ঝুঁকি এড়াতে ATC’র নির্দেশেই বিমানটি নিচে নামানো হয়। এরপরও অবশ্য এই ঘটনার কারণ দাবি করে প্রতিবাদে শামিল হতে চলেছেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।