সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীন ফের বিক্ষোভ। পুরুলিয়ার হুটমোড়ার সভায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকরা মৃদু বিক্ষোভ দেখান। আর তার জেরে মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও পরে ঠিক ঘরের মেয়ের মতো বিক্ষোভকারীদের কাছে টেনে নেন তিনি। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও আশ্বাস তাঁর।
চুক্তিভিত্তিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকরা কাজ করে থাকেন। কাজের ভিত্তিতে বেতন পান তাঁরা। কোনও মাসিক বেতনের বন্দোবস্ত নেই। কিন্তু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকরা মাসিক বেতনের দাবিতে সরব। পুরুলিয়ার হুটমোড়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। বক্তৃতায় ছেদ পড়ে। মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ বিজেপিই পরিকল্পনামাফিক তাঁর সভায় অশান্তি করতে বহু মানুষকে পাঠাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিজেপির সভাতেও বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে লোক পাঠানোর হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও বেশ কিছুক্ষণ পরে মেজাজ শান্ত হয় তাঁর। ঠিক অভিভাবকের মতো তিনি বলেন, “বকেছি কিছু মনে করো না।” বিক্ষোভকারীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টারও আশ্বাস দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সভার আগেই প্রবল উত্তেজনা, বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র খেজুরি]
এছাড়াও একাধিক ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে ফের খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘দাঙ্গাবাজ’, ‘গুন্ডা’ বলে কটাক্ষ তাঁর। গেরুয়া শিবির রাজ্যে শুধুমাত্র অশান্তি তৈরি করছে বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর কটাক্ষ, “বিজেপি মাওবাদীদের থেকেও ভয়ংকর। বিষাক্ত সাপ, এক ছোবলেই শেষ। বীরসা মুণ্ডাকে অপমান করেছে, অন্যের ছবিতে মালা দিয়েছে। একজন সিনেমা করেন, তাকে ধমকাচ্ছে বিজেপি, এত বড় ক্ষমতা! রাজ্যে এমন করলে মুখে প্লাস্টার দিয়ে দেবে রাজ্যবাসী।” বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বাংলা নিয়ে মাথা ঘামালেও পরে রাজ্যকে নিয়ে ভাববে না বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর দাবি, “ভোট নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে দিল্লি। ভোটের আগে মন্ডা-মিঠাই, ভোটের পর কাঁচকলা।” বিধানসভা নির্বাচনের আগের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে কোণঠাসা করলেও পালটা গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না।