সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের (Cabinet Reshuffle) জল্পনা ছিল তুঙ্গে। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হয়েছিল। সেই অপেক্ষায় ছিলেন সকলে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নিজেই এদিন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, মন্ত্রিসভা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বুধবার। ওইদিন বিকেল ৪টে নাগাদ রদবদল হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, ”মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুন করে কিছু করার পরিকল্পনা নেই। ছোট কিছু বদল হবে। ৫, ৬ জন নতুন আসতে পারে। তিন, চার জনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দল, সংগঠনের কাজে লাগানো হবে।” পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই এত বড় পরিবর্তন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের দুই মন্ত্রী প্রয়াত – সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডে। তাঁদের দপ্তরগুলির ভার আপাতত অন্য মন্ত্রীদের বণ্টন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, সদ্য ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর চারটি দপ্তর সামলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এবার এই তিন শূন্যপদে নতুন মুখ আনার ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের মধ্য়ে নাম শোনা যাচ্ছে উদয়ন গুহ, তাপস রায়, বাবুল সুপ্রিয়র। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বুধবার। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কারও নাম না করে কড়া বার্তা দেন মন্ত্রিসভার সদস্যদের। তাঁর কথায়, ”দল বা সরকার কোনওভাবে অস্বস্তিতে পড়ে, এমন কোনও কাজ করবেন না।”
[আরও পড়ুন: ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে পুলিশের, ৫ কেজি গাঁজা-সহ গ্রেপ্তার মহিলা পাচারকারী]
এদিকে, এদিনের বৈঠকের পর বাংলার মানচিত্রে যুক্ত হল আরও সাতটি নতুন জেলা। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক কাজকর্মের সুবিধার জন্য বড় জেলাগুলিকে ছোট কয়েকটি জেলায় ভাঙার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য দিল্লির কাছে IAS, IPSদের পাঠানোর আবেদনও জানিয়েছিলেন। সেইমতো কাজের পদ্ধতি শুরু হয় এবং নিয়ম মেনে তৈরি হতে চলেছে ছোট সাতটি জেলা। এদিন ৭ নতুন জেলার নাম ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। একনজরে দেখে নিন রাজ্যের নতুন ৭ জেলা –
- বহরমপুর
- কান্দি
- সুন্দরবন
- বসিরহাট
- ইছামতী
- রানাঘাট
- বিষ্ণুপুর
এর মধ্যে সুন্দরবন, বসিরহাট, রানাঘাটকে আলাদা পুলিশ জেলা হিসেবে ঘোষণা করে সেখানে কাজকর্ম শুরু হয়েছিল। যেহেতু উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা বড় জেলা, তাই এই দুই জেলাকে ছোট ভাগে ভাগ করা হয়েছে।