সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অধ্যাত্মচর্চার স্থান রামকৃষ্ণদেব-সারদা-বিবেকানন্দের স্মৃতি বিজড়িত দক্ষিণেশ্বর। শত বছরের প্রাচীন মন্দির সংস্কারে আগেই একাধিক কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। পুণ্যার্থীদের সুবিধায় দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে ডালা আর্কেড থেকে শুরু করে মন্দির পর্যন্ত স্কাইওয়াক তৈরি করা – যাবতীয় কাজ করে দিয়েছে তাঁর সরকার। এবার অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যমে প্রাচীন মন্দিরের ইতিহাস বর্ণনা করার জন্য আকর্ষণীয় ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ (Light and Sound) প্রকল্প চালু হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণশ্বর মন্দিরে (Dakshineswar Temple) গিয়ে পুজো দেওয়ার পর একটি মিউজিয়াম ও এই প্রকল্পটি চালু করলেন। পাশাপাশি দক্ষিণেশ্বরের ইতিহাস ও ছবি সম্বলিত একটি বইও প্রকাশ করেন।
এদিন ২৫ মিনিটের একটি শো-ও দেখানো হল। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ”২৫ মিনিটেই ইতিহাস জানা যাবে। বইও পড়তে হবে না।” এ প্রসঙ্গে অছি পরিষদের কাজের প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী টাকা পাঠাচ্ছেন শুনে অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়াই কাল! উধাও সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা]
দক্ষিণেশ্বরের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রানি রাসমনি-রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের নাম। বৃহস্পতিবার সেসব মহান ব্যক্তিত্বের কথা উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন পরিবেশে এসে আধ্যাত্মিক ভাব যেন জাগ্রত হয়ে উঠল তাঁর। বললেন, ”রামকৃষ্ণদেব বলে গিয়েছেন – টাকা মাটি, মাটি টাকা। তার মানে কী? প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু চাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু এখন সকলের সব কিছু বেশি বেশি করে চাই। দরকার কী? যাতে সব মিটে যায়, তারপরও অতিরিক্ত চাওয়ার তো কিছু নেই।” প্রসঙ্গত, রামকৃষ্ণদেবের বাণী উল্লেখ করে বিজেপিকেও (BJP) সুকৌশলে বিঁধলেন তিনি। নাম না করেই তাঁর মন্তব্য, ”যাঁরা এসব বলে, তাঁদের মাথা জঞ্জালে ভরতি।”
[আরও পড়ুন: প্রসূতি বিভাগে মদের আসর! গন্ধে অস্থির মহিলারা, এগরা হাসপাতালে তুমুল হইচই]
এদিন দক্ষিণেশ্বরের এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র, সুজিত বসু, তাপস রায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিকেলে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী ভবতারিণীর মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। তারপর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সবশেষে নিজের বক্তব্য রাখেন। তাঁর কথায়, ”ঐতিহ্য, ইতিহাস, ধর্মচর্চা – সব দিক থেকে এই মুহূর্তে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের যা অবস্থান, তা আন্তর্জাতিক মানের। অনেক কাজ হয়েছে এখানে। আরও হবে। অতিথিশালা, আমি চাই, সকলে আসুন, ঘুরে যান।”