দীপঙ্কর মণ্ডল: আচমকাই সাক্ষাৎ রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানে তৃণমূলের কর্মিসভা সেরে ফেরার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সোজা চলে যান রাজভবনে। সেখানেই উভয়ের সাক্ষাৎ হয়, চলে আলোচনা। বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের জেরে রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে আলোচনা করতেই মুখ্যমন্ত্রীর রাজভবনে যাওয়া বলে মনে করা হচ্ছে। নবান্ন-রাজভবন দ্বন্দ্বের আবহে এই সাক্ষাৎপর্ব নিঃসন্দেহে নয়া নজির তৈরি করল, এমনই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।
বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশন থেকে ট্রেনে করে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজ্যের শ্রমদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সেসময় স্টেশনে বোমাবাজির ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি ও আরও বেশ কয়েকজন। কলকাতার হাসপাতালে এদিন অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। বুধবার রাতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেনকে (Jakir Hossain) লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার তদন্তের দাবিতে সবর হয়েছিল সব মহল। বৃহস্পতিবার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। বিস্ফোরণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। সকালেই নিমতিতা স্টেশনে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করেছে বম্ব স্কোয়াড, সিআইডি। এই ঘটনা নিয়ে টুইটে সরব হন রাজ্যপাল।
এদিকে, এ রাজ্যে মন্ত্রীরও কোনও সুরক্ষা নেই, সেই অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে অভিযোগ করছেন, জাকির হোসেনকে খুন করার চক্রান্ত হয়েছিল। সবমিলিয়ে, ঘরে-বাইরে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শাসকদল। যদিও অতি দ্রুততার সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। সেসব নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতেই মুখ্যমন্ত্রী পৈলান থেকে ফেরার পথে সোজা রাজভবনে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও উভয়ের সাক্ষাৎ নিয়ে রাজভবনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও।