সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার প্রমাণ করে দিয়েছেন যতই তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হোন না কেন, আদতে তিনি যেন ঘরের মেয়ে। বারবার জনগনের ভিড়ে মিশে গিয়েছেন তিনি। ঝাড়গ্রাম সফরেও অন্যথা হল না। মঙ্গলবার বিকেলে বেলপাহাড়ি ও শিলদায় আদিবাসীদের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে কাছে পেয়ে অভাব-অভিযোগ জানালেন তাঁরা। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন মমতা।
মঙ্গলবার দুপুরে বেলপাহাড়িতে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় বেলপাহাড়ি ও শিলদায় মোট তিনবার গাড়ি থেকে নামেন তিনি। সোজা ঢুকে যান আদিবাসীদের। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, রাজ্যের প্রকল্পগুলির সুবিধা আদিবাসী পরিবারগুলি পাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা। সেখানে গিয়েই বাড়ির বারান্দায় একটি শিশুকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন কয়েকজন মহিলা। গিয়েই সেই শিশুকে কোলে তুলে নেন তিনি। কথা বলেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে।
[আরও পড়ুন:বোমাবাজির পর আজও থমথমে সাঁইথিয়া, উদ্ধারও আরও বোমা, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ সুপার]
মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নিজেদের অভাব-অভিযোগ তুলে ধরেন আদিবাসী মহিলারা। জানান, একশো দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু ঘর, একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা। কেউ আবার প্রশ্ন করেন, “ঘর-জল কিছুই পাইনি, কবে পাব?”। প্রত্যেকের অভিযোগ শুনে সাধ্য মতো সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। বলেন, “২০২৪ সালের মধ্যে সমস্যা মিটবেই।” কিছুক্ষণ সেখানে কাটিয়ে ফের গাড়িতে রওনা দেন তিনি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তাঁর আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই জনযোগ কর্মসূচী অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় এর আগেও বহুবার আমজনতার ভিড়ে মিশে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কখনও চায়ের দোকানে ঢুকে চা বানাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনও আবার হোটেলে ঢুকে খুন্তি নেড়েছেন। পাহাড় সফরে মোমো বানাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। স্থানীয়দের ভিড়ে মিশে শুনেছেন সেখানকার বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ। এবার আদিবাসীদের মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।