shono
Advertisement

‘অখিল অন্যায় করেছে, দলের তরফে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি’, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়ে বিজেপি নেতার মন্তব্য নিয়েও পালটা বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Posted: 05:16 PM Nov 14, 2022Updated: 05:47 PM Nov 14, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে দলের বিধায়কের অপমানজনক মন্তব্য নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সাফ জানালেন, ”রাষ্ট্রপতিকে আমরা সকলে সম্মান করি। তাঁকে অখিল যা বলেছে, অন্যায় করেছে। দল কখনও তা অনুমোদন করে না। আমরা অখিলকে সতর্ক করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি ওর সঙ্গে। ও নিজের ভুল বুঝে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। আমরা এ ধরনের কোনও অন্যায় সমর্থন করি না।” পাশাপাশি তৃণমূলের আদিবাসী মন্ত্রীদের নিয়ে বিজেপি নেতাদের ‘অসংবেদনশীল’ মন্তব্য নিয়েও পালটা সরব হলেন। প্রশ্ন তুলে দিলেন, এসব কি ঠিক?

Advertisement

ঘটনা সূত্রপাত শনিবার। ওইদিন নন্দীগ্রামের সভায় রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী? কী দেখতে ভাল? আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?” এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন, নানা জায়গায় তীব্র উত্তেজনা। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টেও (Calcutta HC) মামলা হয়েছে। গেরুয়া ব্রিগেড এই ইস্যুকে ঘিরে সবরকমভাবে বিরোধিতায় নেমেছে।

[আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজত, ‘অনন্তকাল জেলেই থাকব?’, প্রশ্ন পার্থর]

শাসকদলের নেতারা অখিল গিরির মন্তব্যের সমালোচনা করে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছেন। এবার মুখ খুললেন স্বয়ং নেত্রী। বললেন, ”অখিল গিরি যা বলেছেন, তা অন্যায়। দল অনুমোদন করে না। অখিলকে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যায়কে অন্যায় তো বলতেই হবে। কিন্তু আরেকটা কথাও ভেবে দেখা দরকার। বীরবাহা হাঁসদা তো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেয়ে, সাংস্কৃতিক জগতের মেয়ে। ওকে জুতোর তলায় রাখার কথা বলা কি ঠিক? এটা কোন ধরনের সংস্কৃতি?”

[আরও পড়ুন: তরুণীকে কেটে ৩৫ টুকরো করল লিভ-ইন পার্টনার! ১৮ দিনে দেহ ছড়াল দিল্লিজুড়ে!]

নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তাঁর দাবি, ”আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বকেয়া টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাও পাইনি। এটা কিন্তু দয়ার দান নয়, এটা দেওয়া বাধ্যতামূলক। ধীরে ধীরে সমস্ত টাকা বন্ধ করে দিতে চলেছে।”  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement