ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভায় পেশ হয়েছে 'অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল'(Aparajita Bill 2024) (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)। মঙ্গলবার এনিয়ে বিধানসভায় চলছে আলোচনা পর্ব। বিরোধী বিধায়করা এনিয়ে সংশোধনী প্রস্তাব আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে ওঠেন। আজকের দিন অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর দিনটি রাজ্যের মহিলা বাহিনীর জন্য 'ঐতিহাসিক দিন' বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি এই দিনটিতেই রাষ্ট্রসংঘের (United Nations)ইতিহাসের কথাও মনে করালেন, যে ইতিহাস নারী সুরক্ষার জন্য রচিত হয়েছিল। এর পর মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে শোনা গেল নজরুলের কবিতা। উচ্চারণ করলেন, ''বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী/ অর্ধেক তার নর।''
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ''মেয়েদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে ৩ সেপ্টেম্বর একটা ঐতিহাসিক দিন। ১৯৮১ সালে এই দিনে মেয়েদের অধিকার সুরক্ষার জন্য ইউনাইটেড নেশন চালু করেছিল নারী বৈষম্য বিরোধী কমিটি। এই দিনের সঙ্গে মিলে যাওয়ার জন্য আমি ইউএনকে ধন্যবাদ জানাই।'' তিনি বলেন, ''যাঁরা লড়াই করছেন, তাঁদের সবাইকে সমবেদনা জানাচ্ছি, পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। যাঁরা সারা ভারতবর্ষে অত্যাচারিত হয়েছে, তাঁদের জন্যও আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। ধর্ষণে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছি এই বিলে। এটা সমাজের একটা অভিশাপ। সমাজ সংস্কার প্রয়োজন।''
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় পেশ ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা’ বিল, শুভেন্দুর দেওয়া সংশোধনী নিয়ে আলোচনা]
বিধানসভা এভাবে কোনও ফৌজদারি আইন আনতে পারে কি না, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ''কেউ কেউ বলছে, আমরা আইন করতে পারি না। এটা সর্বৈব মিথ্যা। রাজ্য চাইলে আইন আনতেই পারে। সংবিধান সেই অধিকার আমাদের দিয়েছে। অন্ধ্র এনেছে। মহারাষ্ট্রে আনছে। আমাদের এখানে এই আইন রাজ্যপালের কাছে পাঠাচ্ছি। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন।'' এর পরই গোটা বিষয়টি বিরোধীদের দিকে ঘুরিয়ে তিনি বলেন, ''আমরা প্রথম থেকে ফাঁসি চেয়েছি। বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে বলেন, মাননীয় রাজ্যপালকে বলুন, এটা সই করে দিতে। তার পর দেখুন কার্যকর হয় কিনা।''