ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ত্রিপুরার (Tripura) পাশাপাশি গোয়াও এখন পাখির চোখ তৃণমূলের। গোয়ায় শিকড় শক্ত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। খুলেছে নতুন দলীয় কার্যালয়। ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফ্যালেইরো। একাধিক চমকের পর এবার নিজেই গোয়ায় যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে টুইটে বিজেপি বিরোধী জোটের আহ্বান জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
উত্তরবঙ্গ সফর সেরে গোয়া যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “আগামী ২৮ অক্টোবর গোয়া সফরে যাচ্ছি। বিজেপিকে রুখতে প্রত্যেক দল, ব্যক্তি, সংস্থাকে এক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সবাই একসঙ্গে গোয়ায় নতুন সরকার তৈরি করব। গত ১০ বছর ধরে গোয়ার মানুষ অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। নতুন সরকার গোয়ার মানুষের মন বুঝে উন্নয়নের লক্ষ্যেই কাজ করবে।”
[আরও পড়ুন: পাম্প না করেই টিউবওয়েল থেকে এক নাগাড়ে বেরিয়ে আসছে জল, তাজ্জব বর্ধমানবাসী]
সাগরপাড়ে নিজেদের সংগঠনকে শক্ত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সে রাজ্য ছেয়েছে তৃণমূলের হোডিং, ব্যানারে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটআউটও। বিজয়া দশমীতে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের উপস্থিতিতে পানাজিতে খুলেন ঘাসফুল শিবিরের কার্যালয়। ওইদিন প্রাক্তন আপ এবং প্রাক্তন কংগ্রেস মুখপাত্র স্বাতী কেরকার এবং জয়েশ শেঠ গোয়ানকার যোগ দেন তৃণমূলে। জয়েশ শেঠ গোয়ানকারও প্রাক্তন আপ নেতা ছিলেন। বিজেপি ছেড়েও তৃণমূলে যোগের হিড়িক লেগেছে। বিজেপির মহিলা মোর্চার এক্সিকিউটিভ কমিটির প্রাক্তন সদস্য দীক্ষা তালবেনকারও ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে নিয়েছেন।
তার আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দেন গোয়ার (Goa) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরো। সঙ্গে ছিলেন আরও ৬ জন প্রাক্তন বিধায়ক। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরপরই জাতীয় স্তরে নতুন পদও পান। তাঁকে দলের জাতীয় সহ-সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলবদলের পর তৃণমূলের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফর যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।