রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সোমবার বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভাষণ শুরুর আগেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। যার জন্য রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপির বিক্ষোভকে ‘পরিকল্পিত’ বলে দাবি করেন তিনি। তবে হাজারো উত্তেজনার মাঝেও ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইনটি পড়েন রাজ্যপাল। তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান মমতা।
পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে বিধানসভায় বিক্ষোভে শামিল হয় বিজেপি। যার জেরে সময়মতো ভাষণ শুরু করতে পারেননি রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)। এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে মমতা বলে দেন, “বিজেপি যা করেছে, তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। ওরা রাজ্যপালকে ভাষণ দেওয়ার জন্য আটকায়। হেরে নাটক করছে। দীর্ঘ এক ঘণ্টা আমরা অপেক্ষা করেছি। আমি, স্পিকার- প্রত্যেকে রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি ভাষণ দেওয়ার জন্য। উনি ভাষণ না দিলে বাজেট সেশন শুরু হত না। যা অসাংবিধানিক বিষয় হত। তাই অনুরোধ করেছিলাম, একটা লাইন অন্তত পড়ুন। তারপর উনি প্রথম ও শেষ লাইন পড়েন।”
[আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপিতে ডামাডোল অব্যাহত, দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে লকেট]
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জুড়ে দেন, “অন্য রাজ্যেও এরকম হয়। কিন্তু এখানে এমনটা কখনও হয়নি। এভাবে রাজ্যের জয়ী দলের কাজে বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা বিজেপি (BJP), গণতন্ত্রের পক্ষে এটা একেবারেই ভাল না।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর পালটা দিতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বিধানসভার ঝামেলা নিয়ে পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি অভিযোগ করেন, “রাজ্যপালকে শারীরিক নিগ্রহ করেছেন তৃণমূল মহিলা বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর ইন্ধনেই এমনটা হয়েছে। রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা চাই, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে কড়া এ নিয়ে পদক্ষেপ করুন রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৬ ধারার থেকেও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
এদিকে, এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজভবন যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণ পাঠের জন্য রাজ্যপালকে আলাদা করে ধন্যবাদও জানান তিনি।