সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভবানীপুরে জয়ের হ্যাট্রিক করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত তিনবারের রেকর্ড ভেঙে বিরাট ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। রবিবারই ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। তার পরের দিনই অর্থাৎ সোমবার ভবানীপুরের শীতলা মন্দির এবং গুরুদ্বারে পুজো দিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবংসুব্রত বক্সি। গুরুদ্বার থেকে বেরিয়েই উত্তরপ্রদেশের ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল নেত্রী।
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেড়ার (Uttar Pradesh Lakhimpur) ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “লখিমপুরে যা হয়েছে তা অমানবিক, দুর্ভাগ্যজনক। সেখানে নির্মমভাবে কৃষকদের হত্যা করা হয়েছে। নির্দয় অত্যাচার করা হয়েছে তাঁদের উপর।” খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল তৃণমূল। তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করলেন মমতা। বললেন, “এই সরকার সব জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এরকম সরকারের জন্য জনসাধারণেরও ১৪৪ ধারা জারি করা উচিত।” যদিও পরে তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে লখিমপুরে যেতে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে ইতি! একতরফা চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা বামেদের]
সোমবার দুপুরে প্রথমে শীতলা মন্দিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। শঙ্খ বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান এলাকাবাসীরা। মন্দিরে পুজো দেন মমতা। দেবীকে শাড়ি উৎসর্গ করেন। করেন আরতিও। দেবীর পায়ে ফুল দেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সিও। তার পর সেখান থেকে হেঁটে গুরুদ্বারে আসেন মমতা। তাঁকে দেখতে রাস্তার দুধারে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। হাতজোড় করে তাঁদের প্রণামও সারেন তৃণমূলনেত্রী।
[আরও পড়ুন: নারদ মামলায় হাই কোর্টে ধাক্কা সিবিআইয়ের, স্পিকারের কাছে হাজিরা দিতে হবে তদন্তকারীদের]
এর পরই চলে আসেন গুরুদ্বারে। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে সেখানে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। চাদর উৎসর্গ করে প্রার্থনায় অংশ নেন মমতা। সেখানে প্রায় মিনিট সাতেক ছিলেন সেখানে।প্রসঙ্গত, ভবানীপুরের শীতলা মন্দির এবং গুরুদ্বারে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।