ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হয়েই বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাজেট থেকে পেগাসাস, একাধিক প্রসঙ্গে উগরে দিলেন একরাশ ক্ষোভ। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “এভাবে মুখ বন্ধ করানো যাবে না। লড়াই চলবেই।”
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নিয়ম মেনে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক নির্বাচনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। বাংলার বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি এদিন তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে অংশ নেন। যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha), লোকেশ ত্রিপাঠী, রাজেশ ত্রিপাঠী, ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক, অশোক তানোয়ারদের মতো ভিনরাজ্যের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। প্রত্যাশিতভাবেই ফের তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
[আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
নতুন করে পদে আসীন হয়েই কর্মীদের বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের মধ্যে লড়াই না করে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন। এরপরই একাধিক ইস্যুতে কড়া আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা এদিন বলেন, “বিজেপির তিনটে রত্ন। ইডি, সিবিআই, আর টাকা। এভাবে কোনওদিন চলতে পারে না।” পদ্ম পুরস্কার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, পদ্ম ভূষণকে ওরা দূষণে পরিণত করেছে।” বাজেট প্রসঙ্গে এদিন ফের বিজেপিকে ভর্ৎসনা করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “বিজেপি চু কিতকিতের দলে পরিণতি হয়েছে। শুধু হিরে মানুষ রান্না করে খাবে। বাজেটে শাক নেই, ধান নেই। শুধু হিরে। কর্মসংস্থান শূন্য। যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।”
এদিন ফের পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ওরা শুধু জানে পেগাসাস। পিকে-অভিষেকের ফোনে পেগাসাস তো প্রমাণ করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অভিষেকের বন্ধুদের ফোনেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। কিন্তু এভাবে চলবে না। পেগাসাস, ইডি, সিবিআই দিয়ে মুখ বন্ধ করা যাবে না।”