সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের প্রথমার্ধ্বে সংসদে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের (Union Budget 2021) বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। দুপুরের দিকে তা শেষ হওয়ার পর থেকে উৎসাহী মহল অপেক্ষা করছিল, বাজেট নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য। বিকেলের দিকে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনায় মিলল সেই প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলার বেশ কিছু প্রাপ্তি হলেও যথারীতি তা নিয়ে শ্লেষাত্মক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলায় রাস্তা তৈরির জন্য মোট ৬৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বাজেটে। কলকাতা-শিলিগুড়ি সড়ক নিয়ে তিনি বললেন, ”তোমরা আর কী করবে? সব কাজ তো আমরাই করে দিয়েছি। বাংলায় রাস্তা করতে এসেছে! সব রাস্তা আমরা করে দিয়েছি।” এরপর এগ্রিকালচারাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সেস (AIDC)বসানো নিয়ে তাঁর তীব্র কটাক্ষ, ”সেস সব শেষ করে দেবে। সেসের টাকা কিন্তু রাজ্যগুলো পায় না। সব কেন্দ্রের পকেটে যায়।”
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগদানের ‘পুরস্কার’! জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন রাজীব]
সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন ময়দানে উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনা করেছেন বিকেলে। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাজেট নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি। ‘দেশবিরোধী’ বাজেট বলে আজকের বাজেটকে উল্লেখ করেন তিনি। বাজেটে বেসরকারিকরণে জোর দেওয়া হয়েছে আরও। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ, ”রেল, সেল, গেইল, বন্দর, LIC-সব বিক্রি করে দিচ্ছে। নোটবন্দির মতো ব্যাংকবন্দি করবে এবার। ব্যাংকে টাকা রাখবেন, দেখবেন, টাকা নেই। এবার দেশটাকেও বিক্রি করে দেবে।” এরপর তিনি বিজেপি বিরোধী সুর আরও চড়িয়ে বলেন, ”এবার আপনারা বিজেপিকে বেচে দিন। কত টাকায় বেচতে পারবেন? ওদের আর কত টাকা চাই?”
[আরও পড়ুন: ‘আমিও দিদির সৈনিক’, দলের ভাঙন রোধে নয়া কর্মসূচি শুরু করল তৃণমূল]
এবারের বাজেটে বাংলা ও অসমের চা শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই দুই রাজ্যেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পালটা রাজ্যের ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করলেন। কেন্দ্রকে বিঁধে তাঁর বক্তব্য, ”আগেও তো লোকসভা ভোটের আগে প্রচারে এসে চা বাগান খুলে দেওয়ার কথা বলেছিল। করেছে কিছু? চা-শ্রমিকদের দুর্দশার কথা ভেবে আমরাই সব কাজ করেছি। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে বাড়ি দেওয়া হয়েছে, বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে।” এভাবেই উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনা থেকে কড়া রাজনৈতিক বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।