ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিচ্ছিন্নতা নয়, ভাগাভাগি নয়। যারা এসব দাবি তুলবে, তারা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলুক। বাংলা ভাগ ইস্যুতে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলেন একতার বার্তা। বললেন, ''স্লোগান হবে একদিন, আমরা সবাই একসঙ্গে থাকতে চাই।'' বোঝালেন বিবিধের মাঝে মহান মিলনের গুরুত্ব। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কী কী করণীয়, তাও মনে করিয়ে দিলেন। উত্তরবঙ্গ (North Bengal) ভাগের দাবি যে একবিন্দুও ধোপে টিকবে না, তা ফের স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নীতি আয়োগের (Niti Ayog) বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে সোমবার বিধানসভায় (Assembly)আলোচনা পর্ব ছিল। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে একাধিক ইস্যু তুলে ধরেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। একদিকে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির কারণে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের 'উদাসীনতা'র অভিযোগ, অন্যদিকে মাঝেমধ্যে উত্তরবঙ্গ ভাগের (Divide)দাবি উসকে ওঠার বিষয়টি মনে করিয়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ''কাজ আমরা করি। আর ভোটের সময় বিজেপি শুধু বাংলা ভাগ করার কথা বলে! শুধু আদিবাসী, গোর্খা, রাজবংশীদের আলাদা করে দেয়। যারা বলে আমরা কাজ করিনি, তারা নিজেরা কী করেছে, সেটা আগে দেখান।''
[আরও পড়ুন: লাইকের নেশায় স্টান্টবাজি! হাত-পা খুইয়ে বিকলাঙ্গ যুবক, দেখুন ভিডিও]
এর পর তিনি মূল বার্তা দেন। বলেন, ''বাংলা ভাগ তো হবেই না। এর বিরুদ্ধে যাঁরা আলোচনা করছেন, তাঁরা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলুন। ভোটাভুটি হোক। গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত কোন দিকে যায়, দেখে নিন। এটা নিয়ে যারা বলছেন তারা সন্ত্রাসের দল, ভাগাভাগির দল। আমি এদের মানি না। বিবিধের মাঝে মিলন মহান। এটাই আমাদের মেরুদণ্ড, সংবিধানের মেরুদণ্ড। এর বাইরে কেউ যেতে পারে না। স্লোগান হবে একদিন, আমরা সবাই একসঙ্গে থাকতে চাই, আপনাকে চাই না।''
[আরও পড়ুন: দলীয় কার্যালয়ে সালিশি সভায় বেধড়ক মার! কাঠগড়ায় রাজারহাটের তৃণমূল নেতা]
এনিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পালটা বক্তব্য, ''আমরা বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে। আমরা কখনও বলিনি, আমরা বাংলা ভাগ চাই। তবে উত্তরবঙ্গের মানুষ ভীষণভাবে বঞ্চিত। মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য অনেক অট্টালিকা তৈরি হলেও উত্তরকন্যা অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। কেউ সেখানে বসেন না। আমরা ক্ষমতায় আসলে উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য আলাদা প্যাকেজ দেব এবং যে রোহিঙ্গারা দেশে এসেছে, তাদের ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হবে। ''