সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পাহাড় হাসছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের শুরুতেই দার্জিলিঙ, কার্শিয়াংয়ের পথের ছবি অন্তত তেমনটাই বলছে। রাস্তার দু’ধারে মানুষের ঢল। হাতে রং-বেরঙের পতাকা। সঙ্গে স্লোগান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।’ এবারের জিটিএ নির্বাচনের সঙ্গে যেন এক নতুন সূর্যোদয় দেখল পাহাড়। আর সেই সূর্যোদয়ের কারিগরের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘরের মেয়েকে একবার দেখার জন্য পথের দু’ ধারে ভিড় জমিয়েছিলেন পাহাড়বাসী।
সোমবার তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গ রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে দুধ সাদা গাড়ির সামনের আসনে বসে পাহাড় পাড়ি। ‘সূর্যোদয়ের কারিগর’কে স্বাগত জানাতে রাস্তার দু’ ধারে তখন মানুষের ভিড়। উৎসবের মেজাজে পাহাড়িয়া সুরে যেন ঘরের মেয়েকে স্বাগত জানাচ্ছে তাঁরই আত্মীয়রা। তাঁদের প্রতি সৌজন্য দেখাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। কখনও তাঁদের উদ্দেশে হাত নেড়েছেন তো কখনও প্রতি নমস্কার করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রেশনে মিলবে পুষ্টিকর চাল! নিম্নবিত্তের ভোট টানতে নয়া কৌশল কেন্দ্রের]
কার্শিয়াংয়ে ঢুকতেই অনীত থাপার সঙ্গে সাক্ষাৎ। পাহাড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা সারতে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি। গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় গাড়ি। জিটিএ-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেন, “পাহাড়ে দীর্ঘসময় পর জিটিএ (GTA) নির্বাচন হয়েছে। মানুষ দিদিকে ধন্যবাদ জানাতে চায়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ওরা খুশি।” তাই বিরোধীরা যতই নিন্দেমন্দ করুক না কেন, পাহাড় কিন্তু হাসছে। অন্তত মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে তো বটেই।
২০১১ সালে বাংলার মসনদে বসার পর থেকেই উত্তরবঙ্গে শান্তি ফেরানোয় সচেষ্ট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বারবার ছুটে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গে। এর আগের মুখ্যমন্ত্রীরা তো ছুটি কাটাতে, শীতের আমেজ গায়ে মাখতে পাহাড় ভ্রমণে যেতেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে গিয়েছেন পাহাড়বাসীর সমস্যা খুঁজতে। সমাধান সূত্র বের করে আনতে। আর সেই লাগাতার প্রচেষ্টার ফল মিলল হাতেগরম। এক দশক পার হল জিটিএ নির্বাচন। মিটল শান্তিপূর্ণভাবেই। পৃথক রাজ্যের দাবি ছেড়ে পাহাড়বাসী এখন উন্নয়নের জোয়ারে সামিল হতে চায়। আর সেই লক্ষ্যে আগামিকাল অর্থাৎ ১২ জুলাই জিটিএ প্রতিনিধিদের শপথগ্রহণ। সেখানে তাঁদের অভিভাবকের মতো উপস্থিতি থাকবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।