রাহুল চক্রবর্তী: লোকসভা থেকে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এমনকী বাংলাতেও রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের। সদ্য সমাপ্ত দিল্লির নির্বাচনে নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে সিপিআই ও সিপিএম। এবার তাই নিয়ে বিধানসভায় বামেদের চরম আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘ভবানীপুর নিয়ে আমি দেখে নেব, আপনারা আগে যাদবপুর সামলান।’ বামেদের নিজেদের চরকায় তেল দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে শুক্রবার হট্টগোল হয় বিধানসভায়।
কী বলেছেন এদিন মমতা? তাঁর কটাক্ষ, ‘সবাই সবার মতো রাজনৈতিক বক্তব্য রেখে অপপ্রচার করেছেন। রাজনৈতিক দূষণ তাদের মধ্যে এত গ্রাস করেছে তারা সব ভুলে গিয়েছে। আমার দলের ফলাফল নিয়ে বামেদের ভাবতে বলিনি। যাদবপুরে কী হয়েছে? আগে নিজেদের চরকায় তেল দিন।’ বাংলায় নিরীহ মানুষের খুন হওয়ার ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে তোপ দাগে বিরোধীরা। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বাংলায় হিংসার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সরব হতেই পালটা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘রাজ্যে বাম আমলে শেষ দশ বছরে ৬৩৬ জন খুন হয়েছেন কিন্তু এই রাজ্য সরকারের আমলে মাত্র ১৫৪ জন খুন হয়েছেন। এটাও আমরা চাই না। আমরা চাই না কোন দলই খুন নিয়ে রাজনীতি করুক।’
[আরও পড়ুন: জোর করে কাউকে ধর্মান্তরিত নয়, মালদহের ঘটনায় গেরুয়া শিবিরকে কড়া হুঁশিয়ারি মমতার]
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কায়দায় এদিন নামের বদলের কাজের রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘রাজনীতিতে জিততে হলে অনেক কাজ করতে হয়। বছরের পর বছর বামেরা জিতেছে কিন্তু কোনও কাজ করেনি। এবারে তারা আবার বড় লাড্ডু পাবে। বামেরা সবাই সাধু। ১৯৮০ সাল থেকে চিটফান্ড চলছে। বোঝাপড়া না থাকলে কী আর হয়, তাদের কেউ গ্রেপ্তার হয় না।’ বনধ রাজনীতি নিয়েও সিপিএম-কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘কেন সরস্বতী পুজোর দিন বনধ করেছিলেন? বছরে দুটো করে বনধ না করলে হয় না? কংগ্রেস সিপিএমের ডান হাত। যেখানে আঞ্চলিক দল আছে সেখানে কংগ্রেস হেরে যাচ্ছে।’ প্রসঙ্গত দিল্লি নির্বাচনে এবারও ঝুলি শূন্য কংগ্রেসের। এই নিয়ে টানা দুবার রাজধানীতে খাতা খুলতে ব্যর্থ দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি।
The post ‘আপনারা আগে যাদবপুর সামলান’, বিধানসভায় বামেদের তুলোধোনা মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.