স্টাফ রিপোর্টার: পুজো পর্ব মিটতেই ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আগামী ৮ নভেম্বর কৃষ্ণনগর যাওয়ার কথা তাঁর। পরদিন অর্থাৎ ৯ তারিখ সেখানে রাজনৈতিক জনসভায় অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ তারিখ রানাঘাটের হবিবপুরে নদিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠক। তারপর তিনি ফিরবেন কলকাতায়। তৃণমূলের (TMC) ডাকে ৯ তারিখ রাজনৈতিক জনসভাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে জেলার দলীয় নেতৃত্ব। ওই মঞ্চ থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের সামনে নিজের বার্তা তুলে ধরবেন তৃণমূল নেত্রী। সেই বার্তার দিকে নজর সকলের।
নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) বাদ্যি বেজে যাবে। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসও দলীয় স্তরে একাধিক কর্মসূচি পালনে ব্যস্ত। ঠিক এই সময় কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) দিয়েই শুরু হচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সফর। এই সভায় মমতা কী বলেন, সেদিকেই এখন নজর।
[আরও পড়ুন: ‘অনুব্রতকে লটারির টিকিট বিক্রি করিনি’, সিবিআই জেরার পর বিস্ফোরক বিক্রেতা]
নানা ইস্যুতে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এটি যেমন একটি বিষয়, তেমনই যেভাবে ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে সরকার ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বিজেপি, তা নিয়েই ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী দলের মন্ত্রীদের নিজের বার্তা দিয়েছেন। সর্বশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, বিজেপি (BJP) তথা কেন্দ্রীয় সরকারের নানা এজেন্সি বাংলায় সক্রিয়। নানাভাবে প্ররোচনা দিয়ে এখানে হাঙ্গামা বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে। সরকারের বদনামের জন্য উঠেপড়ে তারা লেগেছে। সেইজন্যই ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনওভাবে এলাকায় যাতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে তা দেখতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘দু’বছর হল, এবার তদন্ত শেষ করুন’, অভিষেকের স্ত্রী ও শ্যালিকার মামলায় অসন্তষ্ট হাই কোর্ট]
বস্তুত, দলীয় স্তরে এই বার্তা দেওয়ার পর এবার জেলাস্তরের কর্মীদেরও সতর্ক করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী বুধবার তিনি কৃষ্ণনগরে কী বক্তব্য রাখেন, তা অবশ্যই দেখার। এদিকে, নদিয়া জেলা দু’টি ভাগে বিভক্ত হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। কৃষ্ণনগরকে সদর করে একটি অংশ হবে নদিয়া উত্তর ও অপরটি নদিয়া দক্ষিণ। যদিও জেলাভাগের প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সফরে কোনও বার্তা পাওয়ার পরই প্রশাসন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।