ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কর্মসূচি শেষ হতে এখনও দিন ১৫ বাকি। কিন্তু তার আগেই টার্গেট পূরণে রেকর্ড গড়ে চলেছে রাজ্য প্রশাসনের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। শুক্রবার টুইট করে ফের সেই সাফল্যের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নিজেই। টুইটে তিনি লিখলেন, ”১ মাসেরও কম সময়ে, রাজ্যের তফসিলি, আদিবাসী এবং অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের মধ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি SC/ST/OBC সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়েছে।” এরপর তিনি কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি ভোটমুখী বলে সমালোচনা শোনা গিয়েছে নানা স্তরে। রাজ্যবাসীর একেবারে দোরগোড়ায় সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পৌঁছে দিতে ডিসেম্বর মাস থেকে দু’মাস ব্যাপী এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। সেদিন থেকে বিভিন্ন শিবিরে জোরকদমে চলেছে কাজ। আর প্রথম থেকেই দারুণ পারফরম্যান্স ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির। সেই সাফল্য দেখে শিবিরের সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। দেড় মাসের মধ্যে ২ লক্ষ মানুষ এই শিবিরে এসে সুবিধা পেয়েছেন। তাঁদের নানা সমস্যার সমাধান হয়েছে। সেদিনও টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেছিলেন সাফল্যের কথা।
[আরও পড়ুন: কে ডি সিংয়ের টাকাতেই হয়েছিল নারদের স্টিং! এবার ইডির নজরে ম্যাথু স্যামুয়েলের বয়ান]
এই মুহূর্তে যে সমস্যা নিয়ে বেশি ভুক্তভোগী রাজ্যের আদিবাসী, তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের মানুষজন, তা হল তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট পাওয়া। সরকারি দপ্তরে ঘুরে ঘুরে, নানা প্রমাণ দাখিল করে শংসাপত্র জোগাড় করতে কেটে যাচ্ছিল দীর্ঘ সময়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সমস্যার কথা পৌঁছনোমাত্রই তিনি বিষয়টিকে সরলীকরণ করেন। আধিকারিকদের নির্দেশ দেন যে পরিবারের যে কোনও একজনের এই সার্টিফিকেট থাকলেই যেন তাকে প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং দ্রুত অন্যান্য সদস্যদেরও এই সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: স্তন্যদাত্রী ও সন্তানসম্ভবাদের এখনই করোনা টিকা নয়! কাদের, কীভাবে দেওয়া হবে?]
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমেই যাতে রাজ্যের প্রত্যেক আদিবাসী, তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এই সার্টিফিকেট পৌঁছে যায়, সেই নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে কাজ যে দ্রুতই হয়েছে, এদিনের টুইটে সেটাই তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক মাসেরও কম সময়ে ১০ লক্ষ এসসি, এসটি, ওবিসিদের হাতে এসেছে জাতিগত শংসাপত্র।