সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে বছর দুই পর অবশেষে বসছে রাজ্যের সবচেয়ে বড় শিল্প সম্মেলনে – বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS)। চলতি মাসেই কলকাতা বসবে তিনদিনের আন্তর্জাতিক স্তরের এই বিনিয়োগ মেলা। তার আগে জোরদার প্রস্তুতি রাজ্য সরকারের তরফে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের জন্য ভোল বদলে গেল মিলন মেলার। নতুন রূপে সোমবার সামনে এল বাইপাসের ধারের বিশাল প্রাঙ্গণ। নতুন নাম হল – বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গণ। আর এদিন এই প্রাঙ্গণের উদ্বোধনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ফের বাংলার শিল্প পরিস্থিতি তুলে ধরে বিনিয়োগের বার্তা দিলেন। বললেন, বাংলা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বে পয়লা নম্বরে। সেই কারণেই এই মুহূর্তে বিনিয়োগের সেরা গন্তব্য বাংলা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত বেশ কয়েকটি সামাজিক প্রকল্প ইতিমধ্যে বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত। আন্তর্জাতিক স্তরে তা পুরস্কৃতও হয়েছে। সোমবার সেসব উল্লেখ করেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ”সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে ১ নম্বরে বাংলা। চর্মশিল্পেও এক নম্বরে। জাতীয় স্তরে ১০০দিনের কাজ, MSME – সবেতেই বাংলা প্রথম। সেই কারণেই শিল্পপতিরা ইদানিং বাংলায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। শিল্পের ক্ষেত্রে অনেক কাজ আমরা সহজ করে দিয়েছি। জমির জন্য রয়েছে ল্যান্ড ব্যাংক। রেজিস্ট্রেশনের জন্য এখানে-ওখানে ঘুরতে হয় না। ভূমি দপ্তরে নির্দিষ্ট বিভাগে আবেদন জানালেই খুব দ্রুত তা মঞ্জুর হয়ে যায়। আগামী দিনে আরও সুবিধা বাড়বে। শিল্প প্রসারে আমরা সবসময় কোনও না কোনও কাজ করছি।”
[আরও পড়ুন: SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: কলকাতা হাই কোর্টে বিস্ফোরক রিপোর্ট তদন্তকারী কমিটির]
এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের উদ্দেশে ফের বলেন, গোটা বিশ্বেই তো আপনাদের ব্যবসায়িক সঙ্গীরা রয়েছেন, অংশীদারিত্ব রয়েছে। তাঁদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে বাংলার মাটিতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করুন। সবাই দেখুক। সবাই বুঝে নিক, বাংলা কত কী করতে পারে। এখানে শিল্পের প্রচুর সম্ভাবনা। এখন আমাদের হাতে অনেক প্রকল্প রয়েছে। তাজপুর বন্দর, দেউচা-পাচামি, ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক – অনেক কিছু। আমরা লক্ষ্য, শিল্প এবং কর্মসংস্থান। আগামী দিনে BGBS থেকে আরও শিল্প আসবে।”
[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় গ্রেপ্তারিতে কোনও রং দেখা হয় না’, হাঁসখালি কাণ্ডে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী]
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে নতুন রূপে মিলন মেলাকে উপস্থাপিত করার পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ২,৩ মাসে রাজ্যে আরও একটি ইনডোর স্টেডিয়াম গড়ে উঠবে। নাম তার ‘ধনধান্য’। আলিপুরে ‘উত্তীর্ণ’র পাশে শঙ্খের আদলে তা তৈরি হবে।