ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই রাজ্যজুড়ে পালিত হবে ২১ জুলাই। তৃণমূলের শহিদ দিবস। সভায় যোগ দিতে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ভিড় জমাচ্ছেন শহরে। ঐতিহাসিক দিনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বার্তার অপেক্ষায় দলীয় কর্মীরা। চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। এমন পরিস্থিতিতে আজ অর্থাৎ বুধবার শহিদ দিবসের প্রাক্কালে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী।
অভিভাবকের মতো সকল দলীয় কর্মীদের সাবধানে, সতর্ক হয়ে ধর্মতলার সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্ত ব্যক্তিদেরও সভায় যোগ দেওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। একুশে জুলাই উপলক্ষে কবিতাও আবৃত্তিও করেছেন তৃণমূলনেত্রী।
বুধবার নিজের বাড়িতে দাঁড়িয়ে ভিডিও বার্তা দেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। শহিদ দিবসের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আগামিকাল ২১ জুলাই। এই দিনটি আমাদের কাছে ঐতিহাসিক, স্মরণীয় দিন। দিনটির সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে। জড়িয়ে শহিদ তর্পন। মা-মাটি-মানুষের আবেগ জড়িয়ে।” তবে এমন জমায়েতের দিন আবহাওয়া নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়, “এই সময়টা আবহাওয়া ভাল থাকে না। প্রচণ্ড ঝড়-জল-বৃষ্টি হয়। তারমধ্যেও আমাদের লাখ-লাখ কর্মীরা নিজেদের চেষ্টায় সভাস্থলে আসেন। সভায় যোগ দেন।” এরপরই অভিভাবকসুলভ সুরে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “যারা আসতে পারবেন, তাঁরা সশরীরের এসে সভায় যোগ দেবেন। যারা পারবেন না তাঁরা ভারচুয়ালি সভায় অংশ নেবেন।”
[আরও পড়ুন: তীব্র জনরোষ উড়িয়ে দিয়ে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে]
বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সকল দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরামর্শ, “অযথা তাড়াহুড়ো করবেন না। সামান্য হুড়োহুড়িতে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।” প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার আরজিও জানিয়েছেন তিনি। জেলা প্রশাসন, নেতাদেরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা থেকে আসা কর্মীরা যতক্ষণ না বাড়ি ফিরছেন ততক্ষণ সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
নিরাপত্তার কড়া চাদরে মুড়ে ২১ জুলাইয়ের বৃহত্তর সমাবেশ হতে চলেছে তৃণমূলের। কোভিড পর্ব পেরিয়ে একুশের ভোটের বিপুল সাফল্যের পর দু বছর বাদে তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ। স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ উন্মাদনা বেশি। বাংলা তো বটেই গোটা দেশের নজর থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের দিকে। কারণ এই মঞ্চ থেকেই চব্বিশে লড়াইয়ের দামামা বাজিয়ে দেবেন তৃণমূলনেত্রী।