সংবাদ প্রতিদিনডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) থেকে পৃথক করা হোক ইসলামপুরকে। মঙ্গলবার কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে ইসলামপুরকে আলাদা জেলা করার দাবি তোলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। এমন প্রস্তাব কানে যেতেই ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমতো ধমক দেন বিধায়ককে। বলে দেন, বিধায়ক ‘চিপ’ কথা বলছেন।
মঙ্গলবার ছিল উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠক। সেখান থেকে দুই জেলায় চলতে থাকা সরকারি প্রকল্পের খোঁজ-খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। প্রশাসনিক বৈঠকে বিধায়কদের নানা অভাব, অভিযোগের কথাও শোনেন। সেখানেই বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীকে ছোট করে নিজের বক্তব্য পেশ করতে বলেন মমতা। তখনই ইসলামপুরকে পৃথক জেলা করার আরজি জানান ওই বিধায়ক। আর সে কথা শুনেই মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: Nagaland Firing: ‘BSF’এর গতিবিধির দিকে নজর রাখুন’, নাগাল্যান্ড প্রসঙ্গ টেনে পুলিশকে সতর্কবার্তা মমতার]
বলে দেন, “এরকম দাবি মিটিংয়ে করা উচিত নয়। এরকম হয় না…। এসব চিপ (সস্তা) কথাবার্তা বলবেন না।” এরপর বুঝিয়ে বলেন, “আপনার এইটুকু একটা ছোট জেলা। তাতে আবার দু’টো মহকুমা আছে। এমনিতেই ইসলামপুর মহকুমা আছে। ইসলামপুর পুলিশ জেলা আছে। পৃথক জেলা হলে অফিসার কোথা থেকে পাবেন? অফিসার পেলে তবে তো হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, একটা জেলা করতে অনেক কাজ করতে হয়। তাছাড়া রায়গঞ্জ থেকে ইসলামপুরের দূরত্ব তো খুব বেশি নয়। এর আগে সুন্দরবনকে পৃথক করার দাবিও উঠেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ককে বলেন, “দেখেছেন, সুন্দরবন আর মুর্শিদাবাদ কত বড় জেলা? ভোটে জিতে গিয়েছেন। এখন ভাল করে মানুষের জন্য কাজ করুন। ওসব হবে না এখন।”
তবে আব্দুল করিম চৌধুরীর আরজিতে যে মুখ্যমন্ত্রী বেশ রেগে গিয়েছিলেন, এরপরও বৈঠকে তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল। বিধায়কদের উদ্দেশে বেশ কড়া সুরেই মমতা বলেন, “তাহলে কিন্তু আমি বিধায়কদের বলতে দেব না। তাঁরা যদি মনে করেন, নিজেদের মতো চিপ কথা বলবেন, তাহলে বিধায়কদের আমি কথা বলার অনুমতি দেব না। (ইসলামপুর) ওইটুকু জেলা। এবার বলবে আমার ঘরের মধ্যে জেলা করে দিন।” সঙ্গে যোগ করেন, আধিকারিক থাকলে কোনও অসুবিধা ছিল না। তবে এখন এসব হবে না।