সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত জারি। এরই মাঝে স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম মেনেই যোগ দিলেন চা চক্রে।
উপাচার্য নিয়োগ থেকে রাজনৈতিক হিংসা, সব কিছু নিয়েই রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কখনও রাজ্যপাল রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কখনও খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তাঁকে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। অর্থাৎ সিভি আনন্দ বোস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে মোটেই সুমধুর নয়। তা সত্ত্বেও রীতি মেনেই স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রাজভবনে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চা চক্রে যোগ দেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ বিশিষ্টজনেরা।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে চলল ছররা গুলি, প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভে অধীর চৌধুরী]
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের সকালে রেড রোডে পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুষ্পবৃষ্টি করে রাজ্য পুলিশের বিশেষ হেলিকপ্টার। অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন কে এম রেড্ডি ওই হেলিকপ্টার উড়িয়ে আনেন। পতাকা উত্তোলনের পর কৃতীদের হাতে পদক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে বারাকপুরের গান্ধী ঘাটে যান রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি গান্ধী ঘাটে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সাংস্কৃতি বিভাগ আয়োজিত একটি প্রার্থনা সভায় যোগ দেওয়ায় পাশাপাশি গান্ধীস্বারক স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।