স্টাফ রিপোর্টার: পুজো মিছিলের আগে রাজ্যের সমস্ত পুজো কমিটির মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২২ আগস্ট বিকেল চারটেয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজোর পর্যালোচনা বৈঠক। সেখানে কলকাতার ২৭০৬টি পুজো কমিটির প্রতিনিধিরা সশরীর উপস্থিত থাকবেন। ভারচুয়ালি থাকবেন রাজ্যের বাকি জেলাগুলির প্রায় ৩২ হাজার পুজো কমিটির কর্তাব্যক্তিরা। সবাইকেই সরাসরি বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো কমিটিগুলিকে গতবার ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। এই ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করতে পারেন, নবান্ন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
বিশ্ব দরবারে অন্যতম সেরা উৎসবের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। ঢুকে পড়েছে ইউনেস্কোর আবহমান ঐতিহ্যের তালিকায়। স্বীকৃতির উদযাপনে ১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধর্মতলায় মহামিছিল। যাতে পুজো কমিটিগুলি তো বটেই, পা মেলাবে ইউনেসকো। জেলাগুলিতেও চলবে স্বীকৃতির উদযাপন। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করলেন রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি সচিব শান্তনু বসু এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। নবান্ন সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলার ব্লক ও মিউনিসিপ্যালিটি স্তরে পুজোকমিটিগুলোর সঙ্গেও ২২ আগস্ট ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ব্লক সভাপতি পদ নিয়ে কোন্দল! তৃণমূল ছাড়ার হুঁশিয়ারি ইসলামপুরের ১১ বারের বিধায়কের]
উল্লেখ্য, পুজো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবারই বৈঠক করেন। কিন্তু সেই বৈঠক কলকাতার পুজোগুলিকে নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকত। এবার রাজ্যের সব পুজোর মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী। যা পুজো কর্তাদের মধ্যেও আলাদা উদ্দীপনার সঞ্চার ঘটিয়েছে। এদিকে গত বছরই বাংলার দুর্গাপুজোকে আবহমান ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেসকো। এর আগে একমাত্র পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য এই তালিকায় জায়গা পেয়েছে।
হিমাচলের রহ্মণ, এলাহাবাদের কুম্ভমেলা, পাঞ্জাবের গম উৎসব, মণিপুরের সংকীর্তন-সহ ভারতের বাকি অংশের বারোটা উৎসব ঐতিহ্য আগেই স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু ধারেভারে ব্যাপ্তিতে, সর্বজনীনতায় দুর্গাপুজো সেরার সেরা। এই বিষয়কে সামনে রেখে উত্তর কলকাতার একটি কমিটি মাতৃবন্দনার আয়োজনও করেছে। এই বিশ্ব স্বীকৃতিকে সামনে রেখে দুর্গাপুজোর আগেই মহামিছিল করবে মহানগর। শহরের তিন প্রান্ত থেকে মিছিল এসে মিশবে ধর্মতলায়। সেখানেই হবে মেগা সেলিব্রেশন। ১ সেপ্টেম্বরের পুজো মিছিলে পা মেলাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মিছিলের সামনে শঙ্খ হাতে থাকবেন সব ধর্মের পিছিয়ে পড়া মহিলারা।